রেজাউল করিম রেজা, বিশেষ প্রতিনিধি: সারাদেশে শুরু হয়েছে আঙ্গুলের ছাপে সিম নাম্বার পুনঃনিবন্ধন। সিম নিবন্ধন করতে দোকানে দোকানে ভিড় করছেন নিবন্ধনকারীরা। কিন্তু সমন্বয়হীনতা, অনিয়ম, আর জতিলতায় বিপাকে পড়েছেন তারা। সিম নিবন্ধনে অনেকে টাকা নেয়ার অভিযোগও করেছেন।
গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেলের পুনঃনিবন্ধন প্রতিনিধি সব এলাকাতে থাকলেও সিটিসেল এবং টেলিটকের পুনঃনিবন্ধন প্রতিনিধি এলাকাভিত্তিক পাওয়া যায়নি।
এতে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছে। গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেলের পুনঃনিবন্ধন ফরম পূরনের ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্নতা। এসব ফোন কোম্পানির পুনঃনিবন্ধন ফরমের ক্রমিক নাম্বার ১-৪ পূরণ করলেই চলে। কিন্তু এয়ারটেলের পুনঃনিবন্ধন ফরম পূরণের ক্ষেত্রে ফরমের ক্রমিক ১-১২ পর্যন্ত সব পূরণ করতে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কয়েকটি অনুমোদিত পুনঃনিবন্ধন এজেন্ট পুনঃনিবন্ধন করতে ১০-২০ টাকা আদায় করছে গ্রাহকের কাছ থেকে, যা বেআইনি। এজেন্টদের মতে, তাদের একটি বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করে ফরম পূরণসহ ১০-২০ মিনিট সময় লাগে। অনেকের আঙ্গুলের ছাপ না মেলার কারণে সময় আরো বেশি লাগে।
তাদের মতে, বারবার চেষ্টা করেও আঙ্গুলের ছাপ নির্বাচন কমিশনের তথ্যের সাথে মিলানো সম্ভব হয় না। এতে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। সিম নিবন্ধনের পারিশ্রমিক হিসেবে মোবাইল অপারেটর মাত্র ১ টাকা ৮০ পয়সা প্রতিটা সফল পুনঃনিবন্ধনের জন্য দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, যা সময় আর পরিশ্রমের তুলনায় খুবই কম।
২০ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম