শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১১:৫৪:২৭

‘ক্ষমতাহীন হলে যা হয়’

‘ক্ষমতাহীন হলে যা হয়’

নিউজ ডেস্ক : আমন্ত্রণপত্র না পেয়ে আক্ষেপ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন।  প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণপত্র না পেয়ে নিজেকে ক্ষমতাহীন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।  লেনিন আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কমিটির নয়জনের একজন।

শনিবার একুশে পদক দেয়ার অনুষ্ঠানে যোগদানের ইচ্ছে থাকলেও আমন্ত্রণপত্র না পাওয়ায় যোগ দিতে পারেননি বলে ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন লেনিন।  তিনি স্ট্যাটাসটি পোস্ট করেছেন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে।

তিনি আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন অমর একুশে গ্রন্থমেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের যোগদানের বিষয়েও।  অবশ্য গ্রন্থমেলার অনুষ্ঠানে ‘বলে-কয়ে’ আমন্ত্রণলিপি সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন বলেও স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন তিনি।

নূহ-উল-আলম লেনিন তার দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘আজ একটা স্মরণীয় দিন ছিল।  আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একুশে পদক প্রদান করেছেন। আমি সাধারণত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকি। কিন্তু একুশের অনুষ্ঠান হলে ভিন্ন কথা। এবার খুব ইচ্ছে ছিল অনুষ্ঠানে যাব। আমার খুব প্রিয় ও ঘনিষ্ঠ কয়েকজন একুশে পদক পাওয়ায় আগ্রহটা বেশি ছিল।’

তিনি লিখেছেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হলেই যে আমন্ত্রণলিপি পাব, এমন কোনো কথা নেই।  ক্ষমতাহীন হলে যা হয়! বাংলা একাডেমির কার্ড ১ তারিখের আগের রাতে বলে-কয়ে সংগ্রহ করতে হয়েছে।  বুঝতে পারছি না ইদানীং প্রায়ই এমনটি ঘটছে!

লেনিন তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেছেন, সেই ১৯৬৫ থেকে মফিদুলের সঙ্গে পরিচয় ও বন্ধুত্ব।  মুক্তিযুদ্ধকালে এক সাথে ছিলাম অবরুদ্ধ বাংলাদেশে। এক সাথে ছাত্র ইউনয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি করতাম। এক সময়ে কমিউনিস্ট পার্টি ছেড়েছি। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দেই, মফিদুল আর কোনো দল করেনি। আমাদের বন্ধুত্ব এখনো অটুট।’

তিনি লিখেছেন, জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, হায়াৎ মামুদ, হাবিবুল্লাহ সিরাজী আমার আত্মার আত্মীয়। শাহীন সামাদ ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নে ছিল। ১৯৭৩-এ আমরা তাকে বার্লিন দশম বিশ্ব যুব উৎসবে নিয়ে গিয়েছিলাম। ওরা সবাই একুশে পদক পাওয়ায় আমি গর্বিত। অনুষ্ঠানে যাওয়ার কার্ড না পাওয়ায় যাওয়া হয়নি।
২০ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে