এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক: আগাম আলু তোলা শুরু করেছেন কিশোরগঞ্জের কৃষকেরা। অধিক ঝুঁকি নিয়ে তারা আগাম আলু চাষ করেন। বেলে-দোআঁশ মাটিতে ৫৫ হতে ৬০ দিনে আলু তোলেন। এবার আবহাওয়া ও বাজার দর দুটোই ভালো। তাই অধিক লাভ পাওয়ায় কৃষকরা উৎফুল্ল।
মঙ্গলবার সরেজমিন উপজেলার রণচণ্ডী কুটিপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক আসাদুল হক আগাম আলু তুলছেন। খেতের মাঠেই নতুন আলু ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
তিনি জানান, আশ্বিনের শুরুতে ৩ বিঘা জমির আমন ধান কাটার পর আগাম আলুর বীজ বুনেছেন। যার মধ্যে ২৩ শতাংশ জমির আলু ৫৫ দিনে তোলা হচ্ছে। ৬০০ থেকে ৭০০ কেজি আলু হবে। খরচ বাদে প্রায় ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে। স্বল্প সময়ে অন্য কোনো ফসলে এত লাভ হয় না।
একই গ্রামের আলুচাষি মোজাম্মেল ৩ বিঘা, তরিকুল ৫ বিঘা, হজরত আলী ৭ বিঘা জমিতে অধিক লাভের আশায় আগাম আলু বুনছেন। তারা জানান, বন্যা ও বৃষ্টির ঝুঁকি নিয়ে আগাম আলু লাগাতে হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ও কৃষি অফিস পরামর্শ দেওয়ায় আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন। দু-এক দিনের মধ্যে তারাও আলুর তোলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ভাল বাজার দর পেলে খরচ বাদে দ্বিগুণ লাভবান হবেন এমন প্রত্যাশায় মুখিয়ে আছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, চলতি বছর ৬ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ইতোমধ্যে আগাম আলু তোলা শুরু হয়েছে। এতে বাজারে আলুর ঘাটতি পূরণ করায় ভোক্তাদের স্বস্তি ফেরাবে। অপরদিকে ভালো বাজার দর পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হবে।