রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০২:৪৫:৩৩

যশোরে শহীদ মিনারে বোমা বিস্ফোরণ

যশোরে শহীদ মিনারে বোমা বিস্ফোরণ

যশোর থেকে : যশোর এমএম কলেজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দেয়ার সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৫/৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এ ঘটনার পর উপস্থিত হাজারো লোকজন দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে।
 
রাত ১২টা ১ মিনিটে যশোরের সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ,  সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবির এবং পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শী ভাষ্য মতে, একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দিতে যশোর সরকারি এমএম কলেজস্থ কেন্দ্র্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১১টা থেকে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে থাকেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার ও এমপি কাজী নাবিল আহমদ গ্রুপও পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জড়ো হয়। তারা আলাদাভাবে স্লোগান দিয়ে শহীদ মিনারের কাছাকাছি অবস্থান করে। এতে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

ফুল দেয়ার জন্য এমপি কাজী নাবিল আহমেদের নাম মাইকে ঘোষণা করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক, পরে পুলিশ সুপার ও এমএম কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ডাকা হয়। এরই মধ্যে শহীদ মিনারের পাশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। তখন শ্রদ্ধা জানাতে আসা হাজারো ভাষাপ্রেমী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দৌড়াতে থাকেন। পণ্ড হয়ে যায় শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন।

যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল জানান, ডিসি এবং এসপি ফুল দেওয়ার পর আমরা ফুল দেয়ার জন্য কলেজের দক্ষিণ গেটে অবস্থান করছিলাম। আমাদের দেখার সঙ্গে সঙ্গে এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম মিলন “শুরু করা”র নির্দেশ দেন। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসী ম্যানসেলের নেতৃত্বে গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিপুল দাবি করেন, গুলি করা অবস্থায় কাজী নাবিল আহমেদের গাড়ির চালককে পুলিশ আটক করেছে।

যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম-উদ-দ্দৌল্লা জানান, তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। যশোরের সাংবাদিকদের নিয়ে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। কিন্তু বোমা ও গুলি হওয়ার পর সাংবাদিকদের কোনো সংগঠন ও পত্রিকার পক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে পারেনি। এ নিন্দনীয় ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

বিষয়ে যশোর পুলিশের মুখপাত্র এএসপি মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, ‘বোমা বিস্ফোরণ হলে পুলিশ পুরস্থিতি শান্ত করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়েছে কি না এবং কয় রাউন্ড গুলি ছুড়েছে সেটা তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। কারা এর সাথে জড়িত সেটা তদন্তের পর জানা যাবে।’

পুলিশের তড়িৎ হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে কিছুক্ষণের মধ্যে।

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে