এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী ফরিদুল ইসলামসহ স্বজনরা। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান স্বামীও। স্ত্রীর সঙ্গেই মরদেহ হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ধামরা উপজেলার বালিথা নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফরিদুল ইসলাম। এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা হেনা খাতুন ও রাইসুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ফের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
গোলড়া হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে গেছে, ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে স্ত্রী সুলতানার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন স্বামী ফরিদুলসহ দুইজন স্বজন। পথিমধ্যে স্ত্রীর মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সেটি ধামরাই উপজেলার বালিথা এলাকায় পৌঁছালে গাড়িটি চাকা ফেটে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান নিহত সুলতানার স্বামীও। এতে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা অপর দুইজন গুরতর আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপল চন্দ্র দাস বলেন, সুলতানার বাবার বাড়িতে মরদেহ দাফনের জন্য মানিকগঞ্জ জেলার ধানকোড়া গ্রামে আনার সময় বালিথা এলাকায় তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় সুলতানার স্বামীও নিহত হন। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে যথাযথভাবে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে মরদেহ উভয়ের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।