এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক: ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা, ভাঙচুর করছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতির জেরে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হয় সাত কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়ো হতে থাকে।
পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী ওই কলেজে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় রাস্তার বিপরীত পাশে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১২টা) দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া চলছে।
এদিকে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে তেমন কোনো ভূমিকায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষজনের।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকালকে ডিএমআরসির নেতৃত্ব ঢাকার বেশকয়েকটি কলেজ একত্রিত হয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। গতকাল রাত থেকে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দিয়েছিলাম এ ঘটনার সুষ্ঠু একটা সমাধান করার জন্য। কিন্তু আমাদের দেওয়া সময়ের ভেতর তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। তাই আমরা আজ একত্রিত হয়েছি। আমরা শুনেছি মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হচ্ছে আমরা এখন সেখানে যাবো। আমাদের সঙ্গে রায়সাহেব বাজারে ও যাত্রাবাড়ী সাত কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা যুক্ত হবে।
এদিকে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য বারবার মাইকিং করে নিষেধ করেন।
এসময় তিনি বলেন, তোমরা শান্ত হও, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। গতকালকের ঘটনায় অনুপ্রবেশকারীরা ছিল, আজও এখানে অনুপ্রবেশকারী আছে বলে মনে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটি আসবে, সোহরাওয়ার্দী কলেজকে বলতে চাই গতকালকের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার হবে।