এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে থাকা গভীর নিম্নচাপটি আগামীকাল বুধবারই ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশে আঘাতের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির বড় কোনো প্রভাবও নেই দেশের ওপর।
তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দুই-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে আগামী দুই দিন। তাপমাত্রা কমে কিছুটা বাড়তে পারে শীতের অনুভূতিও।
এদিকে বঙ্গোসাগরে গভীর নিম্নচাপ থাকায় চট্টগ্রাম,মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
তবে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। এটি মূলত শ্রীলংকা বা ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যেতে পারে। বাংলাদেশে এর তেমন উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। বড়জোর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দুই-এক জায়গায় খুব হালকা বৃষ্টি হতে পারে।
এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে শীতের অনুভূতি সামান্য বাড়তে পারে।’
তবে আগামী ৭ বা ৮ ডিসেম্বর থেকে শীত বেশ খানিকটা বাড়তে পারে বলে জানান শাহানাজ সুলতানা। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাপমাত্রা আরো খানিকটা কমতে পারে। এতে তখন বেশ শীত অনুভূত হতে পারে দেশজুড়ে।
এদিকে আবহাওয়ার পুর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ বুধবার সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। বৃহস্পতিবার ও পরদিন শুক্রবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
ভারতের আবহাওয়াবিষয়ক সরকারি সংস্থা আইএমডি জানিয়েছে, বুধবারই গভীর নিম্নচাপটি শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি আগামী দুদিনে আরও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শ্রীলঙ্কা উপকূল ঘেঁষে ভারতের তামিলনাড়ুর দিকে যেতে পারে।