এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক: দুই হাজার আসামির সঙ্গে সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে কারাগারে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫০০ জনই ফাঁসির আসামি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদের আদালতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় রিয়াজুল নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানিকালে পলক নিজেই আদালতকে বিষয়টি জানান।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক একরামুল হক তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পলক কিছু বলতে চান। আদালত অনুমতি দিলে তিনি জানান, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে তিনি ডিভিশন পাচ্ছেন না। ৫ হাত লম্বা ৪ হাত চওড়া সেলে তাকে রাখা হয়েছে।
পরিবারের সাথে সাক্ষাৎসহ ফোনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে না । এ কারাগারে বেশিরভাগ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত। তাদের মধ্যে তাকে রাখা হয়েছে।
এ সময় আদালত পলককে লিখিত আকারে আবেদন দাখিল করতে বলেন।
পরে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পরে পলকের আইনজীবী ফারজানা ইসলাম রাখি জানান, জুনায়েদ আহমেদ পলক আজ আদালতে তার ব্যক্তিগত অপিনিয়ন পেশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাকে ডিভিশনে না রেখে নরমাল কয়েদীদের সাথে সেলে রাখা হয়েছে। যে সেলে সব ফাঁসির আসামি রয়েছে।
সেখানে দুই হাজার আসামির মধ্যে ১৫০০ জন আসামি রয়েছে যারা ফাঁসির আসামি। এমন ধরনের একটা জায়গায় তাকে রাখা হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর তিনি ডিভিশন প্রাপ্ত হন। ডিসির কাছ থেকেও অনুমোদন পান। তিনি ডিভিশনেও ছিলেন।
পরবর্তীতে কাশিমপুর নিয়ে যাওয়ার পর হাইসিকিউরিটির ৪ নং সেলে তাকে রাখা হয়েছে। যেখানে কোনো ধরনের ডিভিশন নাই। শারীরিকভাবে তিনি অনেক অসুস্থ। ডিভিশনাল সেলে সুযোগ সুবিধা না থাকার ফলে তিনি শারীরিক, মানসিকভাবে ও অনিরাপত্তার মাঝে জীবন-যাপন করছেন। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিগোচরে আনা হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে লিখিত আবেদন দিতে বলেছেন। সবকিছু পর্যালোচনা করে ডিসিশন দিবেন আদালত।
এক প্রশ্নের জবাবে ফারজানা ইসলাম রাখি জানান, ওখানে সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামি যেহেতু রয়েছে, তাদের ব্যাকরাউন্ড আসলে অনেক ভয়ংকর থাকে। অনেকে আছে এর মধ্যে জঙ্গি। এ ধরনের জঙ্গিদের সাথে তাকে এক জায়গায় রাখা হয়েছে। তিনি অনিরাপত্তায় ভুগছেন।
আর একটা বিষয় সপ্তাহে প্রত্যেক আসামি তার পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ থাকে। এখানে তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাকে তার পরিবারের কারো সাথে কথা বলার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। ফোনে যে যোগাযোগের ব্যবস্থা কাট করে দয়া হচ্ছে। বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছি মৌখিকভাবে। যদি রেজাল্টটা না আসে আমরা অবশ্যই লিখিতভাবে জানাবো।