এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলায় ৯২ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স নামের একটি সংগঠন এ তথ্য জানায়। উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের মুখপাত্র ফান্তাসির মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক সালেহ মাহমুদ রায়হান, সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহমদ সামরান এবং উত্তরায় ১০ জন শহীদের স্বজনেরা।
ফান্তাসির মাহমুদ বলেন, ‘ঢাকায় সবচেয়ে বড় ও সাংঘর্ষিক আন্দোলন হয়েছিল উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায়। অনেকে বলেন, ৫ আগস্ট উত্তরা ও যাত্রাবাড়ী থেকে মিছিল না গেলে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হতো না। উত্তরায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন। আমরা সেসব শহীদের স্মৃতি বা অবদান তুলে ধরতে শহীদদের একটি তালিকা তৈরির কাজ করছি। এখন পর্যন্ত আমরা উত্তরায় ৯২ জন শহীদ হওয়ার খবর পেয়েছি। আমাদের এ কাজ চলমান।’
সংগঠনটি জানায়, উত্তরায় শহীদ ৯২ জনের মধ্যে ২৫ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন চাকরিজীবী, ১০ জন ব্যবসায়ী, ৫ জন গাড়ি বা রিকশাচালক, ২ জন মসজিদের ইমাম, একজন ডাক্তার, ১১ জন অজ্ঞাত এবং অন্যান্য ১৯ জন।
এ সময় উত্তরায় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা জানান, এত প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশকে যদি সুন্দরভাবে গড়ে তোলা না যায় তবে তা জাতি ব্যর্থ হবে। শহীদ মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই বিসর্জনকে জাতির কাছে স্মরণীয় করে রাখতে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।