এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক: ক্ষমা না চাইলে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে সখীপুরে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু।
তিনি বলেছেন, কাদের সিদ্দিকী বিশ্বাসঘাতক ও মীরজাফর, এটা বাংলার মানুষ আগে বুঝতে পারে নাই। এটা প্রথমে বুঝতে পেরেছিল হাসিনা। তাই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয় নাই। পরে জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে দেশে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
বিএনপির বিরুদ্ধে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর (বীর উত্তম) করা মন্তব্যের প্রতিবাদে সখীপুরে গতকাল শনিবার রাতভর উত্তেজনা বিরাজ করেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের বিক্ষুব্ধ নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে পৌর শহরের তালতলা চত্বরে সমাবেশ করে। এ সময় কাদের সিদ্দিকী বিরোধী স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে চারপাশ।
সমাবেশে শাহজাহান সাজু বলেন, কাদের সিদ্দিকী বলেছে যে বিএনপি না কি চাঁদাবাজি করে, লুটপাট করে। অথচ সখীপুরের কোনো মানুষ স্বাধীনতার পরে এত নিরাপদে থাকতে পারে নাই, যা গত ৫ আগস্টের পরে আমরা সখীপুরকে উপহার দিয়েছি। সখীপুরের সকল স্থাপনা ও প্রশাসনকে নিরাপত্তা দিয়েছি, পাহারা দিয়েছি।
কাদের সিদ্দিকী ক্ষমা না চাইলে সখীপুরে কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শাজাহান সাজু বলেন, কাদের সিদ্দিকীকে প্রতিহত করা হবে।
সমাবেশে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর আবুল হাশেম, যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে সখীপুরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বর্ধিত সভায় কাদের সিদ্দিকী বলেন, আওয়ামী লীগ যে দোষে সর্বহারা হয়েছে, সরকার পতনের পর বিএনপি কিন্তু ওই দোষই করছে। জামায়াতেরা বেবি-ট্যাক্সি স্ট্যান্ড দখল করে নাই, বাজার দখল করে চাঁদা নেয় নাই। বিএনপি কিন্তু এমন করছে। আগে আওয়ামী লীগ যেখান থেকে চাঁদা নিত, এখন বিএনপি সেখান থেকেই চাঁদা নেয়। হয়ত চাঁদার রেট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। যেখানে যেভাবে ভাগ নেয়া যায়, সব নেয়। এটা কিন্তু জামায়াত নেয় নাই।
কাদের সিদ্দিকীর সখীপুরের বাসভবনে ওই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছিল।