এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজধানীর বাজারে আবারও বাড়তে শুরু করেছে মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিপ্রতি ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। তবে ডজন প্রতি মুরগির ডিমের দাম এক লাফে কমেছে ৫ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কেরানীগঞ্জের আগানগর এবং রাজধানীর নিউমার্কেট ও কারওয়ানবাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বিক্রেতারা জানান, কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী দিদার জানান, বাজারে মুরগির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। তাছাড়া ১৬ ডিসেম্বর ও বিয়ের মৌসুমকে কেন্দ্র করে মুরগির চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়।
তবে ক্রেতারা বলছেন, কোনো অনুষ্ঠান বা অজুহাত পেলেই দাম বাড়ায় ব্যবসায়ীরা। ১৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা না করায় দাম বাড়ানোর সাহস পায় তারা।
এদিকে দাম কমেছে ডিমের। ডজন প্রতি ৫ টাকা কমে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২৩৫-২৪০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ডিমের সরবরাহ অনেক বেড়েছে। এতে দাম কমে আসছে। রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ডিম বিক্রেতা রায়হান বলেন, কিছুদিন আগে ডিমের বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল তা পুরোপুরি কমে গেছে। কমছে ডিমের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি ডজনে ৫টাকা দাম কমেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতি ডজনে ৫টাকা দাম কমেছে ডিমের দাম।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার সময় সংবাদকে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর ও বিয়ে উপলক্ষে চাহিদা কিছুটা অবশ্যই বেড়েছে। কারণ এ সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। এছাড়া উৎসব উপলক্ষে অনেক খামারিই দুই-একদিন আগে মুরগি ছাড়বে। যার প্রভাবে ৫-১০ টাকা দাম বাড়াটা স্বাভাবিক।
তবে দাম যেন মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে না যায় সেদিকেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন,
ব্রয়লার মুরগির দাম ১৮০-১৯০ পর্যন্ত যৌক্তিক বলা যায় বর্তমান ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম বিবেচনায়। তবে মুরগির দাম ২০০ টাকার ওপরে গেলে সেটি ভোক্তা সাধারণের জন্য বোঝা হয়ে যাবে। তাই ফিড ও মুরগির দাম দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারকে নজর দিতে হবে। যাতে ডিম ও মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
এদিকে বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।