এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার গত ১৮ ডিসেম্বর বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর খালাস পান। বাবরের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা রয়েছে, যেটিতে যাবজ্জীবন দণ্ড রয়েছে।
এটি থেকে যদি খালাস পান তাহলে তিনি কারামুক্ত হবেন বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর প্রায় সাড়ে ১৭ বছর আগে আটক হয়েছিলেন। সেই থেকে কারাবন্দি বিএনপির এই নেতা।
এর মধ্যে দুর্নীতি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের মতো ঘটনায় করা মামলায় তিনি দণ্ডিত হয়েছিলেন। তবে চলতি বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর এসব মামলার আপিল শুনানি শেষে খালাস পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর। সর্বশেষ ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় খালাস পান তিনি।
তার আইনজীবীর মতে, লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা রয়েছে, যেটিতে যাবজ্জীবন দণ্ড রয়েছে। এটি থেকে যদি খালাস পান তাহলে তিনি কারামুক্ত হবেন।
১৯৫৮ সালের ১০ অক্টোবর লুৎফুজ্জামান বাবর নেত্রকোনার মদনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে প্রথমবার তিনি নেত্রকোনা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে লুৎফুজ্জামান বাবর ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে সেনা সমির্থত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি।
এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। যার মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়। একটিতে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়।
এর মধ্যে ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় ৮ বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে খালাস পান তিনি। সব শেষে ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পান বাবর।
তার আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, লুৎফুজ্জামান বাবরের আরো একটি যাবজ্জীবন দণ্ডের মামলা রয়েছে, যেটি হাইকোর্টে বিচারাধীন। সেই মামলায় আশা করি তিনি খালাস পাবেন। যদি তিনি খালাস পান তাহলে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না।