এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবনী আক্তার খুশি। প্রায় এক বছর আগে থেকে শরীরে পরিবর্তন লক্ষ করে সে। এক পর্যায়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়।
উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার কৃষক খোকন মিয়ার বড় মেয়ে ছিল শ্রাবনী।
মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে ওমর ফারুক। বিষয়টি জানাজানি হলে দলে দলে মানুষ তাকে একনজর দেখতে তার বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে। এ ঘটনায় খুশি শ্রাবনীর মা-বাবা।
আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রাম গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শ্রাবনীর বাড়িতে ভিড় করছে শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ।
প্রায় এক বছর ধরে শ্রাবনীর আচরণে ছেলেদের মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে তার পরিবার নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ছয় মাস ধরে চলা মেডিক্যাল পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে—শ্রাবনী শারীরিকভাবে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে। শ্রাবনী আক্তার খুশি বলে, ‘মেয়ে থেকে ছেলে রূপান্তরিত হওয়ায় আমার কোনো দুঃখ নেই।
বাবার কাজে সহযোগিতা করতে পারব ভেবে আমি অনেকটা খুশি হয়েছি। আমার বর্তমান নাম রাখা হয়েছে ওমর ফারুক।’ ভবিষ্যতে লেখাপড়া করে সরকারি চাকরি করার আশা করে সে। শ্রাবনীর বাবা খোকন মিয়া বলেন, ‘তিন মেয়ের মধ্যে সুমনা সবার বড়। আমার মেয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে।
এটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা, তার কুদরত। এতে আমি খুশি। কারণ আমার ছেলে ছিল না। তাই আল্লাহ এক মেয়েকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়, ফলে বাড়িতে দলে দলে মানুষ ভিড় করা শুরু করেছে। মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ায় তার নাম পরিবর্তন করে ওমর ফারুক রাখা হয়েছে। পোশাক-পরিচ্ছদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে ছেলেদের পোশাক পরছে সে।’
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. এন এ এম আবুল বাসার বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই ছেলে থেকে মেয়ে আবার মেয়ে থেকে ছেলে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। এটা সাধারণত হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে। শ্রাবনী আক্তার খুশির ক্ষেত্রে সে ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।’