বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৯:৩৭:৫৬

চরম দুঃশ্চিন্তায় ভারত! জানেন এবার চীন কী করতে যাচ্ছে?

চরম দুঃশ্চিন্তায় ভারত! জানেন এবার চীন কী করতে যাচ্ছে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন তিব্বতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। তিব্বত মালভূমির পূর্বাংশের এই প্রকল্পের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

তিব্বতের ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নভাগে বাঁধটি নির্মাণ করে বছরে ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের আশা করছে চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্প। চীনের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত থ্রি জর্জেস বাঁধের উৎপাদন ক্ষমতার চেয়ে তিন গুণ বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে নতুন বাঁধটি থেকে। থ্রি জর্জেস বাঁধ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবিদ্যুৎ বাঁধ হিসেবে বিবেচিত। 

নতুন এই প্রকল্প চীনের কার্বন শিখর ও কার্বন নিরপেক্ষতা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি প্রকৌশলের মতো সংশ্লিষ্ট শিল্প খাতকে আরো সমৃদ্ধ করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া। 

ইয়ারলুং জাংবো নদীর একাংশে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে পানিপ্রবাহে দুই হাজার মিটারের মতো পতন ঘটে, যা জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের এক বিপুল সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রকৌশলগত অন্যান্য চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

এদিকে নতুন বাঁধটি নির্মাণে থ্রি জর্জেস বাঁধের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ব্যয়ের মধ্যে প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে অন্যত্র পুনর্বাসনের খরচও রয়েছে। থ্রি জর্জেস বাঁধ নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩৪.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনা কর্তৃপক্ষ অবশ্য তিব্বত প্রকল্পটির কারণে ঠিক কতসংখ্যক মানুষকে অন্যত্র সরে যেতে হবে এবং মালভূমিটির অন্যতম সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় বাস্তুসংস্থানে তার প্রভাব কী হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি।

তবে তারা জানিয়েছে, চীনের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভাবনার এক-তৃতীয়াংশের বেশি পূরণে সক্ষম এই বাঁধের কারণে পরিবেশ ও নিম্নভাগে পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।

অন্যদিকে বাংলাদেশ ও ভারত অবশ্য তা সত্ত্বেও বাঁধটি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের কারণে শুধু স্থানীয় বাস্তুসংস্থানেই পরিবর্তন নয়, নদীর নিম্নভাগের পানিপ্রবাহ ও গতিপথেও পরিবর্তন আসবে।

ইয়ারলুং জাংবো নদীটি তিব্বতের পর ব্রহ্মপুত্র নদ নামে ভারতের অরুণাচল ও আসাম হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছেছে। চীন ইতিমধ্যে নদীটির অন্য অংশে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করছে।

ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রকল্প আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে দেশটি। সূত্র : রয়টার্স

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে