এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দিনের তাপমাত্রায় তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকলেও সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে আগামীকাল শুক্রবার। এতে রাতে শীতের অনুভূতিও কিছুটা বাড়তে পারে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ডিসেম্বরের শেষ দুই-তিন দিনে দিন-রাতের তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে।
এ সময় বিক্ষিপ্তভাবে কিছু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতিও থাকতে পারে। তবে শীত পুরোপুরি জেঁকে বসতে পারে জানুয়ারিতে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ দেশের আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকতে পারে শুক্রবার। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
তবে আগামী শনিবার আবার সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে রাতে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি ও অন্যান্য অঞ্চলে সামান্য বাড়তে পারে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। এদিন রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই তিন বিভাগে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ‘ডিসেম্বরের বাকি দিনগুলোতে শীতের অনুভূতিতে বড় পরিবর্তন আসবে না হয়তো। তবে শেষ দিকে এসে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে এখন। পাবনার ঈশ্বরদী, নওগাঁর বদলগাছী, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া, যশোর, কুষ্টিয়া ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মতো কোল্ড পয়েন্ট বা শীতপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামতে পারে। অর্থাৎ, বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে এসব এলাকায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ৯.৫ ডিগ্রি। ঢাকায় এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবুল কালাম মল্লিক বলেন, দেশের শীতলতম মাস জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও কিছুটা কমতে শুরু করবে এবং উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা বাতাসের গতিবেগও কিছুটা বাড়তে পারে।
সেই সঙ্গে জানুয়ারি মাসে ঊর্ধাকাশের শীতল বাতাসের নিম্নমুখী বিচরণ ঠাণ্ডা বাড়য়ে দিতে পারে বলে জানান আবুল কালাম মল্লিক। কুয়াশার পরিমাণ ও ব্যপ্তিকালও বাড়বে এ মাসে। এতে সূর্যের আলোর প্রাপ্যতাও কমতে পারে। ফলে শীতও ধীরে ধীরে জেঁকে বসতে পারে জানুয়ারিতে।