ঢাকা : সম্প্রতি ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের এক স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে দুই সম্পাদককে এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম আমাকে দুর্নীতিবাজ প্রমাণে বারবার মিথ্যা সংবাদ ছাপছিলেন।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দু’টি পত্রিকা ডিজিএফআইয়ের দেয়া মিথ্যা সংবাদ ছাপিয়ে সে সময় রাজনীতি থেকে আমাকে চিরদিনের জন্য সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য আমাকে বহু চেষ্টা করেছিলেন। তিনি স্বীকারও করেছেন, ডিজিএফআইয়ের চাপে তিনি সেসব নিউজ ছেপেছিলেন।
এখন ভুল স্বীকার করায় তার পদত্যাগ করে সাংবাদিকতা থেকে সরে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
এক এগারোর পরিস্থিতি উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা বলেন, ওই সময় ডিজিএফআই শক্তিশালী হতে চেয়েছিল। ব্রিগেডিয়ার আমিন ও বারী তারাই দেশ চালাতো। ব্যবসায়ীদের ধরে টাকা নেয়া, হয়রানি করা তারা করতো। তারা যেসব পাঠাতো ওই সম্পাদক তাই ছেপে দিতেন।
তিনি বলেন, তাদের পত্রিকায় লেখা থাকে নির্ভিক সাংবাদিকতা। নির্ভিক সাংবিাদিকতা কাকে বলে? ডিজিএফআইয়ের তথ্য উনি ছেপে দিলেন। প্রশ্ন হচ্ছে, তাদের সাথে ওনার কী সখ্যতা ছিল। তিনি এদের হাতে বিক্রি হয়েছিলেন অথবা মাইনাস টু ষড়যন্ত্রের সাথে ওই সম্পাদকদ্বয় জড়িত ছিলেন?
শেখ হাসিনা বলেন, যদি ভয়ে লিখে থাকেন তাহলে তো নির্ভিক থাকলো না। তারা যদি ভুল স্বীকার করেন তাহলে কিছু করার নেই। আর যদি ষড়যন্ত্র করে থাকেন তাহলে দেশের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ধ্বংসকারী, ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হয়েছে সংবিধান অনুযায়ী। তাদেরও তেমনি বিচার হবে। কোন পথ বেছে নেবেন?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা এমনভাবে লিখেন যেন আমাকে দুর্নীতিবাজ বানিয়েই ছাড়বেন। আপনারা আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে চেষ্টা করেছেন।
মাহফুজ আনাম, বিশ্বব্যাংক আপনার পিতৃস্বরূপ তারাও আমাকে দুর্নীতিবাজ বানাতে পারেনি।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে বহু মামলা হয়েছে, সেটা নিয়ে বহু হা-হুতাশ দুঃখ। আমি তখন এ কথা বলেছিলাম, গাইয়ের বাছুর নাকি বাছুরের গাই। এখন যেন সবাই বাছুরের গাই হয়ে গেছে।
২২ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম