সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৮:৫৭:৫৭

নতুন করে আন্দোলনের কথা ভাবছে বিএনপি

নতুন করে আন্দোলনের কথা ভাবছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক : নতুন করে আন্দোলনের কথা ভাবছে বিএনপি।  বিভিন্ন সভা-সমাবেশে সরকার পতনের আন্দোলনের কথা বলে আসছেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।  তবে আন্দোলন কতটুকু হালে পানি পাবে তা-ই দেখার বিষয়।  বিগত দুটি আন্দোলনে সফল হতে পারেনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।  

আন্দোলনের ডাক দিয়ে মাঠে নামতে পারেননি ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা।  মাঠে দেখা গেছে সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের।  এবার আন্দোলনের ডাক দিলে কতটুকু সফল হতে পারবে তা সময়ই বলে দেবে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।  মাঝা ভাঙা বিএনপিকে দিয়ে আন্দোলন সম্ভব নয় বলে ক্ষমতাসীন দলের কেউ কেউ বারবার বলে থাকেন।

এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ এক আলোচনা সভায় বলেছেন, দেশে নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে হবে।
আসুন মহান ২১ ফেব্রুয়ারির আলোচনার দিনে আমরা শপথ গ্রহণ করি, যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে আনব, গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে প্রতিষ্ঠা করবো, জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করবো।

তিনি বলেন, আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।  আজকে বাংলাদেশে নতুন করে আন্দোলন শুরু করতে হবে।  যে আন্দোলনের মধ্যদিয়ে একদিকে আমাদের সংস্কৃতিকে রক্ষা হবে, অন্যদিকে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা হবে। আমাদের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র, অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব।

সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা’ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভয়াবহ শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে আমরা বসবাস করছি। আমাদের কণ্ঠরোধ করে দেয়া হচ্ছে।  আমাদের কথা বলতে দেয়া হয় না। আমাদের সমাবেশ করতে দেয়া হয় না।  সম্মেলন করতে জায়গা দেয়া হয় না। সেই অবস্থার মধ্যে এগিয়ে যেতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে পথ দেখিয়ে গেছেন সেই পথেই আমাদের এগোতে হবে।  আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত।  যারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে তারাই গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করেছে।  তারা অতীতেও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।  গণতন্ত্র ছাড়া কোনো উপায় নেই।  আর গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হলে আন্দোলন ছাড়া কোনো পথ নেই।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশে গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত।  ভুলুণ্ঠিত গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে অলিখিত বাকশাল চলছে।  এ থেকে মুক্ত হতে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।  দেশকে উচ্চ মর্যাদায় নিতে শপথ নিতে হবে।  তাহলেই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা করা হবে।  আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল করেছিল।  গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেই বিএনপির জন্ম হয়েছিল।  

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইনাম আহমেদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান আসাদ প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আহসান হাবিব দুলু, আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
২২ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে