এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মিলাররা দাম বাড়ানোর জন্য চাল মজুদ করেছিলেন। এখন আমদানির খবরে তারা চাল ছাড়তে শুরু করায় দাম কিছুটা কমেছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।
কয়েক সপ্তাহ চড়া থাকার পর ‘আমদানির খবরে’ চালের দাম মানভেদে দুয়েক টাকা কমলেও তা আগের অবস্থায় ফেরেনি; আর পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় শীতকালীন সবজির দাম কমেছে ‘মোটামুটি’।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকেতন ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় মানভেদে নাজিরশাইল চালের কেজিতে দাম এখন ৭৮ থেকে ৮৮ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৮০ থেকে ৯০ টাকা ছিল।
গত সপ্তাহে ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হওয়া ‘স্বর্ণা’ মিলছে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকার মধ্যে। কেজিতে দু-এক টাকা কমে ‘শম্পা’ বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৪ টাকা; ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় মিলছে মিনিকেট।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চড়ে থাকা চালের বাজারে স্থিতি ফেরাতে গত ৭ জানুয়ারি ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
এছাড়া গত ২৫ ডিসেম্বর ভারত থেকে আসে ২৪ হাজার ৬৯০ টন সিদ্ধ চাল। ১২ জানুয়ারি আসে ২৬ হাজার ৯৩৫ মেট্রিক টন চালের আরেকটি চালান।
নিকেতন কাঁচাবাজারের বিক্রেতা শাহ আলম বলেন, “চালের দাম কেজিতে এক থেকে দুই টাকা কমেছে; আরও কমে আসবে। আমদানি করা চাল কিছু-কিছু বাজারে ঢুকেছে। এতে করে দাম কিছুটা কমেছে।”
মহাখালী কাঁচাবাজারের বিক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, “আমদানির খবরে চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে আগের জায়গায় আসে নাই।
“মিলাররা দাম বাড়ানোর জন্য মজুদ করে রেখেছিল। এখন আমদানির খবরে তারা চাল ছাড়তে শুরু করেছে। দাম আরও কমতে পারে।”
এই বাজারে আসা ক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “চালের দাম তো বাড়ার কথাই ছিল না। এখন ৫ থেকে ১০ টাকা কেজিতে বেড়ে এক-দুই টাকা কমলে তাতে তো খুব একটা লাভ হয় না।”