রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৭:১৩:০৫

দফায় দফায় সংঘর্ষ, নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী

দফায় দফায় সংঘর্ষ, নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির এক পক্ষ অপর পক্ষকে ‘হাইব্রিড’ ডাকায় তিন দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষে তিনজন। ভাঙচুর করা হয়েছে অন্তত ২০টি দোকান ও বাড়ি। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা যায়, জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম শনিবার সকাল ১১টার দিকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী দেখতে যান। এসময় দলের কয়েকজন তার সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন দলের অন্য পক্ষের কয়েকজন সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে ‘হাইব্রিড’ বলে মন্তব্য করে। 

শরীফুল আলম চলে যাওয়ার পর সেখানে পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আক্তার মিয়া ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আকবর মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুপুরে আবারও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের লিপ্ত হয়। বিকেলে তৃতীয় দফা সংঘর্ষ হয়। এসময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় সাধারণ মানুষের ২০টি দোকান ও বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে।

১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম জানান, এখানে দীর্ঘদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর জেরেই সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে শফিকুল ইসলাম (৪০), জসিম উদ্দিন (৪০) এবং ভৈরবপুরের রাতুল মিয়া (২৭) আহত হন। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেন। পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে। টহল পুলিশ রয়েছে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে