এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাইডেন আমলের চেয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কম নজর থাকবে ট্রাম্প প্রশাসনের। আর ভারতের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো থাকায় সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ। এমন বাস্তবতা বিবর্জিত ধারণা বাদ দিতে হবে বলে মত বিশ্লেষকদের।
মার্কিনীদের পররাষ্ট্র নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন হলেও তা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তবে প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়া কিংবা কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে শঙ্কা আছে বাংলাদেশের।
দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েই ট্রাম্প বলেন, এখন থেকে শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ। দায়িত্ব নিয়েই সই করেন বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সরে আসা।
এছাড়া জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব নিয়ে আইন বদল করতে চাইছেন রিপাবলিকান এই নেতা। বিষয়গুলোতে বাংলাদেশে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে প্যারিস এগ্রিমেন্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা আর কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে সরাসরি প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক,অধ্যাপক সাহাব এনাম খান এ বিষয়ে বলেন, জাতীয় ইস্যু থেকে অর্থায়ন। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন রিপোর্ট থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ তাদের জলবায়ু বিষয়ক যে তহবিল দিয়েছে, সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশের সরাসরি সম্পৃক্ততা, পররাষ্ট্রনীতিতে এবং বাংলাদেশের যে জাতীয় স্বার্থ এবং বাংলাদেশে বৈদেশিক লেনদেন ঘটিত যেসব বিষয় আছে, সেই জায়গাতে একধরনের প্রেশার প্রতীয়মান হবে।
বাইডেন প্রশাসনে অগ্রাধিকার থাকলেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আগ্রহ কম থাকবে ট্রাম্প প্রশাসনের। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতের সাথে ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো থাকলেও তার প্রভাব পড়বে না বাংলাদেশে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক,অধ্যাপক সাহাব এনাম খান আরো বলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবে নজর। কিন্তু সেই প্যাকেজে অতীতে বাইডেন প্রশাসনের সময় দেখেছিলাম সেরকম হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কিন্তু কোনো পার্টিকুলার প্রতিশোধ পার্টির যেমন আনন্দিত হওয়ার কিছু নয়। ভারতের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের কারণে বাংলাদেশের উপরে সরাসরি একটা প্রভাব পড়বে। আমার মনে হয় সেটা অনেক দেশেই বাস্তবতা বিবর্জিত।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টাও মনে করেন, ট্রাম্পের এমন নীতির কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়ার কোন সুযোগ নেই।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক কোন হোঁচট খাবে? আমি মনে করি এটা স্মুথলি চলবে। সম্পর্ক তো একটা বহমান জিনিস। এটাতে পারস্পরিক চাওয়া পাওয়ার হিসাব একটু পরিবর্তন সব সময়ই হয়। আমরা সেই অনুযায়ী তখন আমাদের যে পদক্ষেপ নেওয়ার সে পদক্ষেপ নেব এবং আমরা নিতে পারব।
তবে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় স্বার্থে শুল্কারোপ বাড়ানোয় বাণিজ্য খাতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মত বিশ্লেষকদের।