এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে তৈরি হওয়া অস্থিরতার জেরে বাংলাদেশে ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত। এতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে কমে গেছে যাতায়াত। সদ্য বিদায়ী বছরে ২০২৩ সালের তুলনায় এই সংখ্যা কমেছে ২ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি।
ভিসা বন্ধ থাকায় দুই দেশের ব্যবসা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন নাগরিকরা। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় আবারও ভারতকে ভিসা চালুর অনুরোধ করেছেন তারা।
বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কোলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। ভ্রমণ, ব্যবসা চিকিৎসা বা অন্যান্য কাজে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারীদের বড় অংশ ব্যবহার করেন বেনাপোল-পেট্রাপোল রুট।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশিদের ভিসা বন্ধ রেখেছে ভারত। এতে কমে গেছে যাত্রী যাতায়াত। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কমেছে ২ লাখ ৩৪ হাজার। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি কমেছে ভারতীয়দেরও যাতায়াত।
যাত্রী কম থাকায় চাপ নেই ইমিগ্রেশনেও। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ আহসানুল কাদের ভূইয়া বলেন, ভারত ভিসা না দেয়ার কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশন যাত্রীদের যাতায়াত অনেক কমে গেছে। তবে যারা ভিসা পাচ্ছেন তাদের সেবা দেয়ার জন্য ইমিগ্রেশন পুলিশ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক ফয়সাল আহসান সজীব বলেন, সাময়িকভাবে বন্দরের আয়ে কিছুটা প্রভাব পড়লেও এটি শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে।
বেনাপোল বন্দরে থাকা যাত্রীরা জানান, ভারত ভিসা সেবা বন্ধ রাখায় ভ্রমণ, চিকিৎসা, শিক্ষা কিংবা অন্যান্য কাজে বাংলাদেশিরা যেমন যেতে পারছেন না, তেমনি ক্ষতির মুখে পড়ছেন ভারতীয়রাও।
যাতায়াতকারীরা বলছেন, বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বর্তমানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে। এমন বাস্তবতায় ভারত আবারও ভিসা চালু করতে পারে।
সবশেষ ১৯ জানুয়ারি বেনাপোল দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করেছে ১ হাজার ৭৩৫ জন পাসপোর্টধারী।