এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় অগ্রণী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে নুরজাহান খাতুন (৬০) নামে এক ভিক্ষুকের ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে এক প্রতারক। এবিষয়ে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের অগ্রণী ব্যাংক বড়বাজার শাখায় টাকা জমা দিতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা নারী। এসময় ব্যাংক কর্মী সেজে টাকা নিয়ে পালায় প্রতারক।
নুরজাহান খাতুন শহরের মিলপাড়া এলাকার মৃত কফিল উদ্দিন শেখের স্ত্রী। তিনি শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করেন।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বেলা ১২টার দিকে নুরজাহান খাতুন ও তার মেয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শাবানা খাতুন ব্যাংকের ভেতরে যান। টাকা জমা দেওয়ার জন্য নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে ব্যাংক কর্মকর্তারা তার টিপসই নেন।
এক পযার্য়ে সেখান থেকে এক প্রতারক টাকা জমা দেবে বলে নুরজাহান নামের ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নুরজাহান খাতুন বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই মা মেয়ে একসঙ্গেই শহরের মিলপাড়া এলাকায় থাকি। ভিক্ষাবৃত্তি করেই এই টাকাগুলো গুছিয়ে ছিলাম। আজ ব্যাংকে সেই টাকাগুলো রাখার জন্যই মা মেয়ে সকালে ব্যাংকে আসি।
এরপর ব্যাংক কর্মকর্তারা কয়েকটি টিপসই নেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওই প্রতারক টাকা জমা দেবে বলে আমার কাছ থেকে ৯৩ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, শেষ সম্বলও নিয়ে গেল প্রতারক। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি মানুষের কাছ থেকে নেওয়া ভিক্ষাবৃত্তি করে আমার এই টাকাগুলো উদ্ধারে করবেন। এই টাকাগুলো পেলে আমি আমার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে জীবনযাপন করতে পারবো। তাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে টাকাগুলো উদ্ধারে সহযোগিতা চাই।
অগ্রণী ব্যাংক কুষ্টিয়ার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পুলিশ এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিহাবুর রহমান শিহাব বলেন, ব্যাংক কর্মী সেজে ভুক্তভোগী নারী নুরজাহানের জমানো টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় প্রতারক। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রতারককে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ।