গভীর রাতে ইশরাক হোসেনকে ফোন তারেক রহমানের

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে নিয়ে একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন।তারেক রহমানের সেই ভিডিও বার্তাটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

তারেক রহমান তাঁর সেই ভিডিও বার্তায় বলেন, এই ৪/৫ দিন আগের ঘটনা৷ আমি ম্যাডামসহ আমরা পরিবারসহ বসে টেলিভিশনে বাংলাদেশের খবর দেখছিলাম। হঠাৎ করে একটি চ্যানেলে একটি খবর দেখলাম।

একটি খবর দেখলাম যমুনা টিভিতে। যে যমুনা টিভি ঢাকা দক্ষিণের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি খবর দেখাচ্ছে, যে সেখানে বাসিন্দারা আটকে গেছে বহু দিন যাবত্ বহু দিন যাবত, পানিতে আটকে গেছে, চলাচল করতে পারে না, পানিবন্দি হয়েছে অনেকের ঘরে ঢুকতে পারে না।বিভিন্ন সমস্যায় জায়গা যদি পানি জমে যায়।

বেশ  জায়গায় এলাকার মানুষ তো দক্ষিণে যেহেতু আমাদের ইশরাক মেয়র প্রার্থী ছিল তখন। বাংলাদেশ সময় প্রায় রাত ৩.৩০ টার মতো বাজে।আমি তার মধ্যে ইসরাককে ফোন দিলাম। কারণ সকালবেলা যদি আমি আবার ভুলে যাই  তাই ফোন দিলাম ইশরাককে, এরকমক একটা নিউজে দেখলাম তুমি কালকে একটু যাও যে বিষয়টা দেখে দেখো কী করা যায়। সমস্যা সমাধান করা যায় কিনা। ইশরাক পরের দিন গিয়েছে।

এখন সহকর্মীবৃন্দ, এই ঘটনাটি বলার একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে। দেখুন,এই মুহূর্তে আমরা জানি যে ঢাকা শহরে বা যেখানেই হোক,যদি প্রকৃত জনপ্রতিনিধি থাকত, প্রকৃত ওয়ার্ড কমিশনার থাকত, প্রকৃত মেয়র থাকতো। যারা আসলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত।তাহলে আমাকে কিন্তু ফোন করার দরকার হতো না।

আমি কিন্তু একজন মানুষ হিসাবে আমার পক্ষে সব আমার আপনাদের কারও পক্ষে কিন্তু সব ফোন করে করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। এটি আমাদের একটি সিস্টেমে আনতে হবে।এই সমস্যা জনগণের সমস্যার সমাধান কে একটি সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে।

আজকে যদি প্রকৃত ওখানে একজন ওয়ার্ড কমিশনার থাকত যে কিনা সত্যিকারভাবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতো, তাহলে কিন্তু আমার ফোন করার প্রয়োজন হতো না।

তাহলে ওই সংবাদ মাধ্যমের সমস্যা দেখানোর প্রয়োজন হত না। হয়তো তাহলে ইশরাককে রাত জাগার দরকার হত না। ইশারাককে যাওয়ার দরকার হতো না। ওই ওয়ার্ড কমিশনার নিজের ঘরেই সমস্যার সমাধান করতো। সেটি ওয়াসার হোক, সেটি সিটি করপোরেশনের সমস্যা হোক, সব শেষে দৌড়াদৌড়ি করেনিজেই সেই সমস্যার সমাধান করতো।