বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৩৮:২৯

জানেন হু হু করে দাম কমে এখন পেঁয়াজের কেজি কত হলো?

জানেন হু হু করে দাম কমে এখন পেঁয়াজের কেজি কত হলো?

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নওগাঁর মান্দায় মুড়িকাটা পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলছে। প্রতিদিন পাইকারি বাজারে ১৮০০-২০০০ হাজার মণ পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। প্রচুর আমদানি হওয়ায় হু হু করে কমছে দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমণ পেঁয়াজে দাম কমেছে ৩০০-৪০০ টাকা। ফুলকপির পর এবার পেঁয়াজের আবাদেও ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েন চাষিরা।

চাষিরা বলেন, এবার রোপণ মৌসুমে পেঁয়াজের কন্দবীজের দাম ছিল আকাশছোঁয়া। প্রতিমণ বীজ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২-১৫ হাজার টাকা দরে। এতে এক বিঘা জমির জন্য বীজ কিনতে ব্যয় হয়েছে ৫০-৫৫ হাজার টাকা। এর পর জমিতে হালচাষ, সার-কীটনাশকসহ পরিচর্যায় ব্যয় হয়েছে আরো অন্তত ২০ হাজার টাকা।

সবমিলিয়ে এক বিঘা জমিতে ব্যয় হয়েছে ৭০-৭৫ হাজার টাকা। প্রতিবিঘায় ফলন হচ্ছে ৪৫-৫০ মণ। বর্তমান বাজার দরে যা বিক্রি হবে ৫০ হাজার টাকায়। এতে করে প্রতিবিঘায় চাষিদের লোকসান গুনতে হবে অন্তত ২০ হাজার টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ধারাবাহিকভাবে কয়েক বছর ধরে পেঁয়াজের দাম ভালো পাওয়ায় চাষিরা এ চাষে বেশি ঝুঁকে পড়েন। এবার উপজেলায় প্রায় চার হাজার বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এ চাষ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাজারদরের উন্নতি না হলে চাষিদের অন্তত ৮ কোটি টাকা লোকসানের শঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দেলুয়াবাড়ি পাইকারি হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রকারভেদে প্রতিমণ মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২৫০ টাকা দরে। 

হাটে পেঁয়াজ কিনতে আসা বানিসর বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এবার কম-বেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় বাজার ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের বাজারদর বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

স্থানীয় পেঁয়াজ বাজারে থাকা অবস্থায় আমদানি বন্ধের দাবি করে চকদেবীরাম এলাকার চাষি সাগর আলী বলেন, ‘আজ হাটে আমি সাড়ে ৯ মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম। বিক্রি করেছি ১২০০ টাকা মণ দরে। ভ্যান ভাড়া ও খাজনায় প্রতিমণে খরচ হয়েছে ৫০ টাকা। এক বিঘা জমিতে আমার ২০-২২ হাজার টাকা লোকসান হবে।’

মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন বলেন, অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এবার মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ ভালো হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই দরপতন হওয়ায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। বাজারদর না বাড়লে ফুলকপির মত এ চাষেও চাষিরা লোকসানে পড়বেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে