এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গাজীপুরে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মহানগরীর কোনাবাড়ী বাইমাইল (মধ্যপাড়া) এলাকায় ঘরের মেঝে থেকে স্ত্রীর এবং আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় স্বামীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন—মৌ আক্তার বৃষ্টি (২০) ও তার স্বামী সোহাগ হোসেন (২৫)। মৌ আক্তার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সান্দুরিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। সোহাগ হোসেন একই জেলার ধাপ তেঁতুলিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। ওই দম্পতি বাইমাইল এলাকায় বাসায় ভাড়া থাকতেন।
বাড়িওয়ালার ছেলে দেওয়ান মোহাম্মদ রাসেল বলেন, দুপুর হয়ে গেলেও তাদের বাসার দরজা বন্ধ ছিল। অনেকবার ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মেঝেতে স্ত্রীর লাশ এবং আড়ায় স্বামী সোহাগকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
মৌ আক্তার বৃষ্টির চাচা রতন মিয়া বলেন, বৃষ্টি সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। সোহাগ কোনাবাড়ী ব্র্যাক এনজিওতে হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতো। তাদের মধ্যে কখনও ঝগড়া-বিবাদ দেখিনি। হঠাৎ করে কেন এমন ঘটনা ঘটালো বুঝতে পারছি না।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। সিআইডির ক্রাইম টিম ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।