এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাশের দেশসহ হাসিনার দোসররা এখনো সক্রিয় উল্লেখ করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, ‘সেজন্য বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। আওয়ামী লীগের যারা রাতে আপনাদের ফোন দেয়, তাদের ঘাড়ে নেয়া চলবে না।’
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনো চলছে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দলের কোনো নেতাকর্মী দখলবাজি, চাঁদাবাজিতে জড়িত হলে দল কিন্তু তার দায়িত্ব নেবে না। যে করবে তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। জনগণের পাশে থাকতে হবে। আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই, যে বাংলাদেশের সংসদ হবে দুর্নীতিমুক্ত।’
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘খুনের রানী, গুমের রানী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হলে দেশে আরেকটি বিপ্লব হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করছেন না কেন? বিএনপি নিষেধ করেছে নাকি।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে। কথায় কথায় বলবেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবেন। নিষিদ্ধ করছেন না কেন? বিএনপি না করেছে নাকি। কেন নিষিদ্ধ করছেন না? আইন তৈরি করেন। এখনতো পার্লামেন্টের প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট একটা অধ্যাদেশ জারি করলেই হয়ে যায়, সেটা কেনো করছেন না। আওয়ামী লীগকে জিইয়ে রাখবেন কার জন্য? ওই অপশক্তিকে কোন উদ্দেশ্যে ব্যাবহারের মতলব আছে কি না আমরা জানি না। সেই ধরনের মতলবের বিরুদ্ধে কিন্তু আমরা রুখে দাঁড়াবো।’
গত ১৬ বছর যারা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন করেছে তাদের ঠাঁই বিএনপিতে হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কোনো ফ্যাসিস্টের সহযোগীকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হবে। খবর পাচ্ছি, স্বৈরাচারের সহযোগীরা নানাভাবে নানা দলে নানা স্থানে জায়গা নেয়ার চেষ্টা করছে।’
জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।
উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, আজম খান, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আতাউর রশীদ বাচ্চু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন, রশিদুল ইসলাম লিটনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সভায় জেলা বিএনপির আগামী কাউন্সিলে নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি ও করণীয় সম্পর্কে বক্তারা দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য দেন। সভায় জেলা সদরসহ উপজেলার নেতাকর্মীরা যোগ দেন।