বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ১২:৫৫:৪২

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ব্যবহারিত সাইকেলটি আজও অক্ষত

 বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ব্যবহারিত সাইকেলটি আজও অক্ষত

নিউজ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৮০তম জন্মদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি। ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০০৮ সালে ‘মহিষখোলা’র নাম পরিবর্তন করে ‘নূর মোহাম্মদ নগর’ করা হয়।

নির্মাণ করা হয়েছে গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরসহ স্মৃতিস্তম্ভ। সেই থেকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে নূর মোহাম্মদ নগরের চালচিত্র। এদিকে, দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি জাদুঘরে সংরক্ষণের দাবি উঠেছে।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের আত্মীয় (শ্যালক) নড়াইলের ডৌয়াতলা গ্রামের মশিয়ার রহমান জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পরিবারের সাথে দেখা করতে যশোর থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে নূর মোহাম্মদ একবার বাড়িতে (নড়াইলের মহিষখোলা) আসেন। পরে যশোরে ফিরে যাওয়ার সময় সাইকেলটি আমার বড় ভাই অলিয়ার রহমানের কাছে রেখে যান তিনি। তিনি বলেন, আমার ভাই সে সময় দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত।

মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে নূর মোহাম্মদ শহীদ হওয়ায় আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার। পরে সাইকেলটি  সংরক্ষণ করেন আমার ভাই অলিয়ার রহমান। ভাইয়ের (অলিয়ার) মৃত্যুর পর তার ছেলে এমদাদুল হক সাইকেলটি ব্যবহার করছেন। এখন সাইকেলটি নূর মোহাম্মদ স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণের দাবি স্বজনদের।

গত ১০ ডিসেম্বর সাইকেলটি নূর মোহাম্মদের স্ত্রী ফজিলাতুন নেসার কাছে হস্তান্তর করলে স্বামীর ব্যবহৃত সাইকেলটি স্পর্শ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। সাইকেলটি স্বযত্ন সংরক্ষণের জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। এমদাদুল হক বলেন, বাবার (অলিয়ার) মৃত্যুর পর সাইকেলটি আমি ব্যবহার করছি। বীরশ্রেষ্ঠের এ সাইকেলটি চালিয়ে আমার খুব ভালো লাগে। সাইকেলটি জাদুঘরে সংরক্ষণ করতে পারলে খুব আনন্দিত হব।

এদিকে, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী ফজিলাতুন নেসা নূর মোহাম্মদের বসতভিটায় স্মৃতিস্তম্ভের পাশে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণের দাবি তার।-নয়া দিগন্ত
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে