এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার পাল্টা অভিযোগ এনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে টিএসসি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এ সময় তারা স্লোগান দেন, ‘শিক্ষা মৌলবাদ- একসঙ্গে চলে না’, ‘ছাত্রদলের ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’।
এর আগে, রাত ৮টার দিকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর রাজু ভাস্কর্য থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারও রাজু ভাস্কর্যে আসে। একই সময়ে ছাত্রদলের মিছিলটি ভিসি চত্বর ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে জায়গা না পেয়ে ডাস চত্বর-সংলগ্ন রাস্তায় সমাবেশ শুরু করে। ডাস চত্বরের পাশের রাস্তায় রাত প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ছাত্রদলের সমাবেশ চলে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সহসভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম ভুঁইয়া ইমন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা হামলার পাল্টা অভিযোগ এনে এর তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি অবিলম্বে হামলায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান ছাত্রদলের নেতারা।
এর আগে, বিকেলে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় কয়েকজনের হাতে রামদা দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গেছে সেনাবাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে শিক্ষার্থীরা ‘ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই’- এমন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় হলগুলো প্রদক্ষিণ করেন। পরে তারা উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর জেরে আজ বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা হামলার জন্য ১৮ জনকে দায়ী করে তাদের আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল, ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করাসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছেন।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন জানান, কুয়েটে ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।