 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব আহমদ ফয়েজ জানিয়েছেন, ৫ জানুয়ারির পর দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কী হবে, সে বিষয়ে সরকারের কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ছিল না। বরং প্রতিটি ঘটনা ঘটার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
একটি টেলিভিশন টকশোতে তিনি বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল না। যত ঘটনা ঘটেছে, আমরা পরে ব্যবস্থা নিয়েছি। ছয়-সাত মাস পর এখন অনেক কিছু মনে হতে পারে, কিন্তু তখন তাৎক্ষণিক সমাধান নিয়েই কাজ করতে হয়েছে।”
গার্মেন্টস খাতে চলমান সংকট নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন। তার মতে, “গত ১৭ বছরে সবকিছু এত বেশি রাজনীতিকরণ হয়েছে যে, যারা ব্যবসা করছিল, বিশেষ করে গার্মেন্টস মালিকরা, তাদের পালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ত না, যদি ন্যূনতম ভালো অবস্থা থাকত।”
তিনি জানান, “২০-৩০ জন গার্মেন্টস মালিক হঠাৎ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তারা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারেননি, ফলে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মালিক যদি থেকে বলতেন যে আগামী মাসে বেতন দেব, তাহলে শ্রমিকরা হয়তো তিন মাস অপেক্ষা করত। কিন্তু মালিকই যখন পালিয়ে যান, তখন শ্রমিকরা একদিনও অপেক্ষা করতে চায় না।”
সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অভাবের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, “আমি অর্থনীতি খুব একটা বুঝি না, কিন্তু এটুকু বলতে পারি, ৫ তারিখের পরে কী হবে—সেটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা ছিল না।”
এছাড়া, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, “যারা সরকারের দায়িত্বে এসেছেন, তারা স্বীকার করেছেন যে, তারা এ ধরনের কাজের জন্য পরীক্ষিত নন। তারা করতে করতে শিখছেন এবং অভিজ্ঞদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছেন।”
বর্তমান অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, যদিও স্বীকার করেন যে মূল্যস্ফীতি (ইনফ্লেশন) এখনো চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। তিনি বলেন, “অন্য অর্থনৈতিক সূচকগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। যদি রমজান মাস ঠিকভাবে সামলানো যায়, তাহলে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।”
আহমদ ফয়েজের বক্তব্যে স্পষ্ট যে, সরকারের অনেক পদক্ষেপ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে, এবং পূর্ব পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল। তবে তিনি আশাবাদী যে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি উন্নতি করবে এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা আরও সুসংগঠিত হবে।