শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০২:৪৫:৩২

জাতীয় পার্টির কাউন্সিল নিয়ে টানাপড়েন

জাতীয় পার্টির কাউন্সিল নিয়ে টানাপড়েন

নিউজ ডেস্ক : শফিকুল ইসলাম সোহাগ আগামী ১৬ এপ্রিল সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা হলেও এ নিয়ে দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল রয়েছে।

বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদপন্থিরা কাউন্সিলের বিষয়ে অনাগ্রহ এবং কিছু ক্ষেত্রে তারা এর বিরোধিতাও করছেন। অবশ্য কাউন্সিল সফল করতে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নানা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু এখনো ভেন্যু চূড়ান্ত করতে পারেনি দলটি।

বিকল্প ভেন্যুগুলোও যেন কাউন্সিলের জন্য না পাওয়া যায় সে চেষ্টাও করছেন জাতীয় পার্টির ভিতরে থাকা সরকারপন্থিরা। আর ভেন্যু চূড়ান্ত না হওয়ায় কাউন্সিলের অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে তাদের (রওশনপন্থিদের) সম্মানিত সদস্য করা হয়েছে। আমরা চাই, কমিটির সবার পরামর্শ নিয়েই কাউন্সিল সফল হোক। দলের স্বার্থ রক্ষা সবারই কর্তব্য। আশা করি সময়ের ব্যবধানে সবাই কাউন্সিলে আসবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কাউন্সিলের জন্য আবেদন করেছি। এখনো পাইনি। শেষ পর্যন্ত অনুমতি না পেলে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে আবেদন করব। সেখানেও না পেলে সোহরাওয়ার্দী কিংবা অন্য কোথাও ঘোষণা অনুযায়ী ১৬ এপ্রিল কাউন্সিল হবেই।

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে সারা দেশে পার্টিতে উচ্ছ্বাস এবং আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে। দলকে শক্তিশালী করা আমাদের কর্তব্য। তিনি বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ দলকে শক্তিশালী করতে যে আস্থা নিয়ে আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তা ব্যর্থতার কোনো অবকাশ নেই। পার্টি চেয়ারম্যানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে আমরা পৌঁছবই।

জানা যায়, ১৬ এপ্রিলের কাউন্সিলকে খুবই গুরুত্ব দিচ্ছেন এইচ এম এরশাদ। কাউন্সিল সফল করার জন্য ইতিমধ্যে এরশাদ দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে আহ্বায়ক এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সদস্য সচিব ঘোষণা করেছেন।

কাউন্সিলকে সফল করতে প্রচার ও প্রকাশনা কমিটি, গঠনতন্ত্র উপ-কমিটি, ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি, অভ্যর্থনা উপ-কমিটি, দফতর উপ-কমিটি, অর্থ উপ-কমিটি, মঞ্চ উপ-কমিটি, সাংস্কৃতিক উপ-কমিটি, নির্বাচন কমিশন, শৃঙ্খলা উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এত কিছু সত্ত্বেও এখনো কাউন্সিলের স্থান নির্ধারণ করতে পারেনি দলটি।

তবে আশাবাদী নির্ধারিত সময়ের আগে কোথাও স্থান নির্ধারণ হবে। এদিকে কাউন্সিল সফল করতে ১৭১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে রয়েছেন রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত অনেক এমপি। যদিও রওশনপন্থি ৩৫ এমপি ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন রওশনকে কো-চেয়ারম্যান না করা পর্যন্ত তারা এরশাদের কোনো সভা-সমাবেশে যাবেন না।

১৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে রওশনপন্থি এমপিদের মধ্যে রয়েছেন— দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ অন্তত ১৭ জন এমপি।

 জানা যায়, রওশনপন্থি বলে পরিচিত অংশটি সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিতে ব্যস্ত। এ অংশের সঙ্গে সরকারের ভালো সম্পর্ক থাকায় তারা কাউন্সিলের জন্য এরশাদকে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র না দিতে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

রওশনপন্থি বলে পরিচিত জাপার এক এমপি বলেন, কাউন্সিলের জন্য এরশাদের জাতীয় পার্টি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পাবে না। এরশাদের কাউন্সিলের আগে আমাদের (রওশনপন্থিদের) কাউন্সিল হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। -বিডি প্রতিদিন

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে