এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বই ছাপানোর কাজে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বেঁধে দেয়া সবশেষ সময় আজ রোববার (১৬ মার্চ)। এদিন রাতেই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে পরিবহনগুলো বই নিয়ে ছুটবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান।
সময় সংবাদকে তিনি বলেন, এবারই প্রথম ২২ দিনে প্রাথমিক ও ৪২ দিনে মাধ্যমিকের বই ছাপানোর কাজ শেষ করেছে এনসিটিবি অনুমোদিত ছাপাখানাগুলো। টেন্ডার, সংশোধন, পরিমার্জনের কারণেই শিক্ষার্থীদের হাতে সব পাঠ্যপুস্তক পৌঁছাতে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে আজ রাতেই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে পরিবহনগুলো বই নিয়ে ছুটবে। আর মঙ্গলবারের (১৮ মার্চ) মধ্যে দেশের সব স্কুলে পৌঁছানো হবে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বোর্ডের আংশিক বাকি থাকা বই।
নানা তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে এনসিটিবির চেয়ারম্যান জানান, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বই বাঁধাইয়ের কাগজ মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা করেছে।
পরবর্তী টেন্ডারে তুলনামূলক দুর্বল ছাপাখানার সক্ষমতা ও কর্মক্ষমতা অধিকতর যাচাইয়ের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল ছাপাখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন অধ্যাপক ড. একেএম রিয়াজুল হাসান।
এদিকে সরেজমিনে রাজধানীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একাধিক ছাপাখানায় দেখা গেছে, চলছে শেষ সময়ের কাজ। এক মুহূর্ত যেন বসে থাকার সুযোগ নেই। কর্মীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়। বিরামহীন চলছে বাকি থাকা বইয়ের ছাপা ও বাঁধাইয়ের কাজ।
কর্মীরা জানান, ছাপার কাজ শেষ করতে এবার তারা সময় পেয়েছেন অন্যান্য সময়ের তুলনায় অর্ধেক। এ বছর প্রাথমিকের কাজের জন্য ২২ দিন সময় দেয়া হয়েছে। ২২ দিনে এমন কাজ শেষ করা অনেক কঠিন। এ ছাড়া মাধ্যমিকের জন্য দেয়া হয়েছে ৪২ দিন, আগে ছিল এটা ৯৮ দিন।