এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকাসহ বিভিন্ন পাওনার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রাজধানীর প্রেসক্লাব ও সচিবালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশসহ অর্ধশত আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এসময় পল্টন মোড় ও আশপাশের এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকরা শ্রম ভবন থেকে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শ্রম মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে আসে। জাতীয় প্রেসক্লাব ও সচিবালয়ের মাঝের লিংক রোডে তারা পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশও তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
শাহবাগ থানার পুলিশ কর্মকর্তা সরদার বুলবুল আহমেদ বলেন, শ্রমিকদের হামলায় আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
এ ঘটনায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দীলিপ রায়কে পুলিশ আটক করলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বলেন, পুলিশ আমাদের ন্যায্য দাবির আন্দোলনে হামলা করেছে। এতে ৪০ জনের বেশি শ্রমিক আহত হয়েছে। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
আন্দোলনে টি এন জেড অ্যাপারেলস, অ্যাপারেল প্লাস ইকো লিমিটেড, রোর ফ্যাশন, স্টাইল ক্রাফট গার্মেন্টস ও ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের পাঁচ শতাধিক শ্রমিক কর্মচারী অংশ নেন বলে জানা গেছে।