মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫, ১১:২৭:২২

দাম আরও কমে এবার ডিমের হালি কত হলো জানেন?

দাম আরও কমে এবার ডিমের হালি কত হলো জানেন?

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : এবারের রমজানে ডিমের দাম কমায় ভোক্তারা খুশি হলেও বিভিন্ন পর্যায়ের পোলট্রি খামারিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ডিমের সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণসহ ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিপিআইসিসি ও ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে। ছয় প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে– সরকারিভাবে ডিম-মুরগির ‘সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য’ নির্ধারণের পাশাপাশি ‘সর্বনিম্ন মূল্য’ নির্ধারণ; কোল্ডস্টোরেজে ডিম সংরক্ষণের সরকারি বাধা প্রত্যাহার; অফ-সিজনে তৃণমূল খামারির জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা; ফিডের দাম কমানো; ডিম-মুরগির উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনবিষয়ক কৌশলপত্র প্রণয়ন এবং স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করা।

ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিম ১০ থেকে সাড়ে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢাকা, ময়মনসিংহসহ আশপাশের এলাকায় খামার পর্যায়ে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৮.৫০ টাকায়; অন্যদিকে টাঙ্গাইল, নরসিংদীসহ অন্য জেলায় বিক্রি হচ্ছে গড়ে ৮ টাকায়। 

অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর প্রতিটি ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে খামার পর্যায়ে ১০.৫৮ টাকা, পাইকারিতে ১১.০১ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে ১১.৮৭ টাকা (সংযুক্তি)। প্রতি ডিমের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ১০.১৯ টাকা। সে হিসাবে প্রতিটি ডিম বিক্রি করে খামারির লোকসান হচ্ছে গড়ে প্রায় ১.৬৯ থেকে ২.১৯ টাকা। 

ডিমের দৈনিক উৎপাদন সাড়ে ৪ কোটি পিস ধরলে গত ২১ দিনে খামারির লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৯ থেকে ২০৬ কোটি টাকা। লোকসান সামাল দিতে না পেরে অনেক খামারি মুরগি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন, যা আশঙ্কাজনক। কারণ, রমজান শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত খুললে চাহিদা বাড়বে, তখন সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হলে দাম বাড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিপ্লব কুমার প্রামাণিক, মো. নজরুল ইসলাম, আফতাব আলম, শাহ্ ফাহাদ হাবীব, আসাদুজ্জামান মেজবাহ, তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে