শুক্রবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৯:২৯:৫৭

দেড় মাস ধরে পড়ে থাকা লাশ দুটি নেবে কে?

দেড় মাস ধরে পড়ে থাকা লাশ দুটি নেবে কে?

ঢাকা : দীর্ঘ দেড় মাস ধরে পড়ে আছে লাশ দুটি।  লাশ দুটো কে নেবে? দাবিদারও পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত কালাম ওরফে হিরণ ওরফে তুহিন (৩২) ও নোমান ওরফে আবদুল্লাহর (৩৫) লাশ দুটো এক মাসেরও বেশি সময় ধরে পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাপসাতাল মর্গে।

কামাল জামায়াতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) ঢাকা অঞ্চলের নতুন কমান্ডার ছিলেন।  নিহত অপর জঙ্গি সদস্য নোমান ছিলেন ঢাকা অঞ্চলের অপারেশনাল কমান্ডার।  

পুলিশের দাবি, কামাল আশুলিয়া চেকপোস্টে পুলিশ সদস্য হত্যা এবং পুরান ঢাকায় হোসেনী দালানে বোমা হামলায় জড়িত ছিলেন।

মর্গের ইনচার্জ সেকান্দার আলী সাংবাদিকদের বলেন, দুটি লাশ নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছি।  অন্য লাশ রাখারও জায়গা পাচ্ছি না।  সকাল-বিকেল সাংবাদিকরা এসে বারবার জানতে চায় কিসের লাশ, কেউ নিচ্ছেন না কেন নানা প্রশ্ন।  

ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, পুলিশকে বারবার তাগিদ দেয়ার পরও লাশগুলো বুঝে নিচ্ছে না।  এতে সমস্যা হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্প ইনসচার্জ এসআই মোজাম্মেল হক জানান, গত ১৩ জানুয়ারি এক জঙ্গি সদস্যকে নিয়ে শিকদার মেডিকেলের পেছনে অভিযানে যান ডিবির এসি সানোয়ারের ইউনিট।  এসময় দুই জঙ্গি মোটরসাইকেলে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়।  এসময় বন্দুকযুদ্ধে তুহিন ও নোমান মারা যায়।  এরপর হাজারীবাগ থানা পুলিশ লাশ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রেখে যায়।

ডিমএপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হাসান সরকার গণমাধ্যমকে জানান, দুজনই জঙ্গি সদস্য ছিল।  নিহত কামাল ওরফে হিরন গাবতলী ও আশুলিয়ায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল।
২৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/ এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে