এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঈদে রাজধানীর থানা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা ঈদের নামাজও আদায় করেছেন কর্মস্থলের কাছেই। তাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল বিশেষ খাবার।
বেশ কয়েকটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাবারের পদে ভিন্নতা থাকলেও বিশেষ খাবারের আয়োজন হয়েছে ডিউটিরত সবার জন্যই।
তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন জানান, ঈদের দিন সকালে আয়োজন করা হয়েছিল সেমাই ও খিচুড়ি এবং দুপুরে ছিল পোলাও, খাসির মাংস ও গরুর মাংস।
পল্লবী থানার ওসি বলল, ঈদের দুপুরে তারা আয়োজন করেছিলেন মুরগির রোস্ট, গরুর মাংস ও পোলাও।
কোতোয়ালি থানার ওসি মোহম্মদ ইয়াসিন শিকদার বলেন, ‘সব থানার মতো আমাদেরও নির্দেশনা ছিল পোলাও-মাংস করার। আমরা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘যারা অপারেশনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ছুটি নেই। আর যাদের ডিউটি না করলেও চলে, তাদের ছুটি দেওয়া হয়েছে।’
ডিএমপি থেকে এই আয়োজনের জন্য ৩০ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে, ঈদুল ফিতরে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য প্রায় দুই কোটি তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সারা দেশে দায়িত্ব পালনকারী নিরাপত্তা সদস্যদের উন্নতমানের খাবার সরবরাহ করার জন্য এই অর্থ দেওয়া হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এই বরাদ্দ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও ভিডিপি এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য হবে—যারা গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা চৌকি, চেকপয়েন্ট ও টহল কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকবেন।
ডিএমপি ডিসি (মিডিয়া) তালেবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা পূর্ব ঘোষিত আয়োজন। ডিএমপিসহ সারা দেশে এই ব্যবস্থা ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পোলাও-মাংসসহ নানা পদের ভালো খাবারের আয়োজন করা হয়েছে ডিউটিরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য।'