এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও নেতাকর্মীদের সংঘবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি উসকানি দিয়ে বলেছেন, 'মাঠে নামার সময় এক গ্রুপ সামনে, আরেক গ্রুপ পেছনে থাকবা। সামনের গ্রুপ আক্রান্ত হলে পেছনের গ্রুপকে হামলা চালাতে হবে।'
কেউ হামলা করতে এলে তাদের চরম শিক্ষা দেওয়ার কথাও বলেছেন শেখ হাসিনা।
গত বুধবার ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপ রেকর্ডে যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা উদ্ধারের জন্য এরকম নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। দিল্লিতে বসেই মুঠোফোনে বিদেশে পলাতক যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন নির্দেশনা নিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বিরক্ত এবং সংক্ষুব্ধ। তাদের বক্তব্য, 'কেউ হয়তো এ মুহূর্তে ভয়ে বা অন্য কোনো কারণে প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলবে না। কিন্তু ৫ আগস্টের পর দলের অনেক নেতাকর্মী ওনার ওপর চরম ক্ষুব্ধ। কারণ, ওনার এবং ওনার আশপাশে থাকা কিছু হাইব্রিড আওয়ামী লীগারের ভুল ও লোভের কারণে আজ দলের এ চরম পরিণতি দেখা দিয়েছে।'
তারা বলেন, 'শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের তো কিছুই হয়নি, তারা তো ভালোই আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, তিনি কীভাবে দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে বিপদের মধ্যে রেখে এভাবে পালিয়ে যেতে পারলেন। তাকে যারা ১৫ বছরে বিপথগামী করেছেন, দুহাতে লুটপাট ও দুর্নীতি করেছেন; তাদের অনেকে তার মতো বিদেশে পালিয়ে গেছেন। অথচ খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ নেতাকর্মীদের।'
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আরও জানান, 'তার (শেখ হাসিনা) মতো পলাতক নেত্রীর কথায় কেউ আর মাঠে নামবে না। বরং ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ করব কি না এবং করলে কীভাবে, কাদের নেতৃত্বে কোন আাওয়ামী লীগ আমরা করব-সেটিই এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয়।'