এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বার্তায় এ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। যা উদযাপিত হবে সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ সালের প্রথম দিন।
প্রধান উপদেষ্টা তার বার্তায় জাতিকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, শুভ নববর্ষ ১৪৩২। বাংলা নববর্ষের এ উপলক্ষে, আমি সকল দেশবাসীকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
‘পহেলা বৈশাখ’ ঐতিহ্যবাহী উদযাপন বাঙালি সংস্কৃতিতে এক অনন্য এবং লালিত স্থান অধিকার এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বাঙালিদের ঐক্য এবং মহা পুনর্মিলনের দিন।
বংশগতভাবে, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি নববর্ষকে নবচেতনা এবং নতুন অঙ্গীকারের সাথে গ্রহণ করে আসছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এই দিনে মানুষ বিগত বছরের দুঃখ, বোঝা এবং হতাশাকে দূরে সরিয়ে রেখে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব, আনন্দ এবং ভালোবাসার চেতনায় একত্রিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে, মুঘল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে বাংলা নববর্ষ উদযাপন শুরু হয়েছিল। কৃষিকাজ সহজতর করার জন্য তিনিই বাংলা বছরকে ‘ফসলি বছর’ হিসেবে গণনা শুরু করেছিলেন। একটি ঐতিহ্য যা সময়ের সাথে সাথে সমস্ত বাঙালির জন্য ধর্মনিরপেক্ষ ঐক্যের চেতনার প্রতীক হয়ে উঠেছে বলেও তিনি উল্লে করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর সময়, আসুন আমরা অতীতের দুঃখ, কষ্ট এবং দুর্ভাগ্যকে পেছনে ফেলে নতুন আশা ও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে যাই।
তিনি উল্লেখ করেন যে, ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান সকল প্রকার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথ খুলে দিয়েছে। এটি আমাদেরকে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুখী, সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ এবং প্রাণবন্ত একটি বাংলাদেশ গড়ার জন্য কাজ করার অনুপ্রেরণা জোগায়।
তিনি আরও বলেন, এই নববর্ষ এমন একটি জাতি গঠনের জন্য আমাদের যৌথ অঙ্গীকারের দ্বারা চিহ্নিত হোক। প্রধান উপদেষ্টা নববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত সকল উদ্যোগের সাফল্য কামনা করেন।