এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিশ্ব গির্জা পরিষদের (ডব্লিউসিসি) মহাসচিব রেভারেন্ড ড. জেরি পিল্লে আজ রবিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
জেনেভাভিত্তিক সংস্থা ডব্লিউসিসির মহাসচিব রেভারেন্ড পিল্লে এ সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সরকারের শান্তি, ন্যায়বিচার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ভূমিকার জন্য পূর্ণ সমর্থন জানান।
রেভারেন্ড পিল্লে বলেন, ‘আমরা এখানে এসেছি আপনার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই দশক পর এই সফর বাংলাদেশের প্রতি আমাদের অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন প্রদর্শন করে। আপনার মতো আমরাও ঐক্য, শান্তি ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজে বিশ্বাস করি এবং আমরা দেখছি আপনার অন্তর্বর্তী সরকার এই লক্ষ্য পূরণে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ডব্লিউসিসি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান এবং তাদের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। উত্থান-পতন থাকেই, তবে আমরা সংকল্পবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সামনের দিনগুলোতে আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন। আমি আশা করি, আপনারা আবার বাংলাদেশে আসবেন।’
বিশ্ব গির্জা পরিষদ, যা ৩৫২টি সদস্য গির্জার একটি বৈশ্বিক সংস্থা এবং বিশ্বব্যাপী ৫০ কোটিরও বেশি খ্রিস্টান সম্প্রদায় মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রেভারেন্ড পিল্লে বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের ‘৩ শূন্য বিশ্ব’ (ধন-সম্পদের কেন্দ্রীকরণে শূন্যতা, বেকারত্বে শূন্যতা এবং কার্বন নিঃসরণে শূন্যতা) গঠনের স্বপ্নের সঙ্গে ডব্লিউসিসিও একমত।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব গির্জা পরিষদেও আমরা এই ৩ শূন্য নীতিগুলো সক্রিয়ভাবে প্রচার করি। এটি একটি স্বাভাবিক মিল এবং আমরা আপনার পাশে থেকে এ পথ চলতে পেরে আনন্দিত।’
রেভারেন্ড পিল্লে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন। বিশ্ব গির্জা পরিষদের বাংলাদেশ শাখা গাজীপুরে একটি জলবায়ু কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
তিনি মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের সেরা এবং সবচেয়ে উদ্ভাবনী।’
এসময় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
রেভারেন্ড পিল্লের সঙ্গে ছিলেন ডব্লিউসিসির প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ দিনেশ সুনা, বাংলাদেশ প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ ফেডারেশনের সভাপতি বিশপ ফিলিপ অধিকারী, সাবেক উইং কমান্ডার ও বাংলাদেশ জাতীয় চার্চ পরিষদের সভাপতি ক্রিস্টোফার অধিকারী এবং জাতীয় চার্চ পরিষদের মহাসচিব রেভারেন্ড দীপক দাস।