মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৪৯:৫৩

এবার যে বিপদের মুখে টিউলিপ সিদ্দিক

এবার যে বিপদের মুখে টিউলিপ সিদ্দিক

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের মুখে পড়তে পারেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসে তিনি আদালতে আত্মসমর্পন না করলে এই রেড অ্যালার্ট জারি হতে পারে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এই এমপির বিরুদ্ধে রোববার একটি আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। ২৭ এপ্রিলের মধ্যে তাকে আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদনের জন্য বলা হয়েছে। 

ডেইলি মেইলকে দুদকের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদি তিনি যথাসময়ে আদালতে হাজির না হন তবে ইন্টারপোলের সাহায্য চাইবে সংস্থাটি। 

ওই কর্মকর্তা বলেন, যদি টিউলিপ আদালতে আত্মসমর্পণ না করেন, তাহলে বৈশ্বিক নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশ পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের শরণাপন্ন হবে দুদক। 

যুক্তরাজ্য ১৯২৮ সাল থেকে ইন্টারপোলের সদস্য। বাংলাদেশও সংস্থাটির সম্মানিত সদস্য। রেড অ্যালার্ট জারি হলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে টিউলিপকে হস্তান্তরে বাধ্য থাকবে দেশটি। 

প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগের মামলায় দুদকের অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে রোববার টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ হাসিনাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি আদালত। 

এদিকে সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিক। 

বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পর আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সিটি মিনিস্টার’–এর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। 

সোমবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন টিউলিপ সিদ্দিক। জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষগুলোর কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। পুরোটা সময় তারা ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ চালিয়েছে। আমার আইনজীবীরা উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন। তবে তারা কখনো এর জবাব দেয়নি।

টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রসঙ্গ বা মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বিশেষ গুরুত্ব দিতে পারি না। এটা পুরোপুরি আমাকে হয়রানি করার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার। এমন কোনো প্রমাণ নেই যে আমি ভুল কিছু করেছি।

টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড বলেছেন, অভিযোগগুলো পুরোপুরি মিথ্যা এবং টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা সেগুলো লিখিতভাবে মোকাবিলা করছেন।

তবে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, অভিযোগগুলোয় কোনোভাবেই কাউকে ‘নিশানা’ করে করা হয়নি এবং সেগুলো ‘ভিত্তিহীন নয়’। ‘দুর্নীতির দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে’ তদন্ত করা হচ্ছে।

দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকা ঠিক হবে না। আমি টিউলিপ সিদ্দিককে (বাংলাদেশে) এসে সম্ভাব্য সবচেয়ে ভালো আইনি সহায়তা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য স্বাগত জানাব।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে