বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:২৬:৩০

বড় সুখবর প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য, এবার যে সুপারিশ

বড় সুখবর প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য, এবার যে সুপারিশ

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ও প্রক্সি ভোটদান পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

এ তিনটি পদ্ধতির সফলতা, দুর্বলতা পর্যালোচনা করার জন্য তিনটি পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি। এসব কমিটি আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে সুপারিশ জমা দেবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, পরামর্শক টিম গঠন করা হয়েছে। তিনটা পদ্ধতি নিয়ে তিনটা টিম কাজ করবে। আগামী ২০ তারিখের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবে।

প্রবাসীদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণে পরামর্শক কমিটির কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে ইসির এনআইডি অনুবিভাগের নিবন্ধন ও প্রবাসী অধিশাখার পরিচালক মো.আব্দুল মমিন সরকার ঢাকা মেইলকে বলেন, পোস্টাল ব্যালট ভোটিং পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করা যায় কিনা সে দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) দায়িত্ব পেয়েছে অনলাইন ভোটিং পদ্ধতির তারা তাদের মতো করে প্রস্তাবনা দেবে আর মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) দায়িত্ব পেয়েছে প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতির তারা তাদের মতো টিম গঠন করে পর্যালোচনা করে প্রস্তাব দেবে।

তিনি বলেন, প্রত্যকের দুটো পার্ট একটা হলো প্রি-রেজিষ্ট্রেশন এটা সবার ক্ষেত্রে কমন এটা করতেই হবে। রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি কার কোনটা হবে তা আলাদাভাবে তৈরি হচ্ছে। এরপর এগুলো জমা হবে তারপর পরামর্শ কমিটির সবাইকে নিয়ে বসে ইউনিক একটা রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।

গত ০৮ এপ্রিল দেশ সেরা প্রযুক্তিবিদদের সঙ্গে বৈঠকের পরের দিন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রথম তার ভাষণে বক্তেব্য প্রবাসীদের ভোটের অধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন। এজন্য নির্বাচন কমিশনও এই প্রত্যাশা ধারণ করে। আমরা ১৭৮টি দেশে স্টাডি করে দেখেছি ১১৫টি দেশ তাদের প্রবাসী নাগরিকদের জন্য ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রেখেছে। সবচেয়ে অনুশ্রিত পদ্ধতি হচ্ছে দূতাবাসে, এরপর হচ্ছে পোস্টাল ব্যালট, এরপর হচ্ছে অনলাইন বা প্রক্সি ভোটিং। বাংলাদেশের প্রবাসীদের যে বিস্তৃতি তাতে দূতাবাসে সেটা সীমিত। এজন্য তিনটিকে শর্ট লিস্ট করেছি। পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ও প্রক্সি ভোটিং। তিনটিরই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, কিছু সুবিধাও আছে। কমিশনের কাছে বিষয়টি উত্থাপনের পর নির্বাচন, আইন, কারিগরি ও নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বুধবার (০৮ এপ্রিল) কর্মশালা করি। যেখানে ১০টি টিম তাদের উপস্থাপনা উপস্থাপন করেছে। ঢাবি, বুয়েট, এমআইএসটি, সমাজক্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিল।

তিনি বলেন, ১০টা উপস্থাপনার মধ্যে তিনটা পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধা দেখেছি। আমরা যে পদ্ধতিই অনুসরণ করি না কেন, তা বাংলাদেশের প্রবাসীদের বিস্তৃতসহ অন্যনান্য বিষয় বিবেচনা সাপেক্ষে করতে হবে। যে পদ্ধতিতেই করিনা কেন, প্রবাসীকে প্রথমকে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য কোনো একটা পদ্ধতি নয়, বরং মিশ্র পদ্ধতি করতে হবে। কেননা, একেক এদেশের পরিস্থিতি একেক রকম। সকল পদ্ধতির সফলতা ও দুর্বলতা আছে। সকল পদ্ধতির জন্য মক টেস্টিং প্রয়োজন হবে। সম্ভবত, সকল পদ্ধতির জন্যই পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত পরিসরে করতে হবে। এটা অনেক দেশ করছে।

তিনি বলেন, পরামর্শক কমিটি তিনটি পদ্ধতির সফলতা, দুর্বলতা পর্যালোচনা করে কী করে দুর্বলতা কাটানো যায়, সে ব্যবস্থা তারা করবেন। এরপর আমরা অংশীজনদের সঙ্গে বসবো। ইনশাআল্লাগহ এবার প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে পারবো।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে