এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে প্রথম আলো পত্রিকার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রথম আলো তার সম্পর্কে "বিলাসী জীবনযাপন" সংক্রান্ত মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করেছে।
হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, “প্রথম আলো আজ শিরোনাম করেছে ‘হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন’। আমি সেই সাংবাদিককে আহ্বান জানাচ্ছি, দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি আদৌ কতটা বিলাসী জীবন যাপন করি।”
তিনি দাবি করেন, দিল্লী থেকে লিখে দেওয়া এই ধরণের সংবাদ তাকে থামাতে পারবে না। বরং তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম, যখন ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে জীবন ঝুঁকি নিয়ে একাই দাঁড়িয়েছিলাম।”
হাসনাত বলেন, “যদি বিলাসিতা করতেই চাইতাম, তাহলে আপনাদের মতো ভারত বা র-এর তাবেদারি করে মন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু আমি সেটা করিনি, করবও না। আমি স্পষ্ট জানাচ্ছি—ভারত কিংবা র-এর বিরুদ্ধে কথা বলাও থামাবো না এবং আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার যে কোনো উদ্যোগ জীবন থাকতে ব্যর্থ করব।”
তিনি আরও বলেন, তার আর্থিক লেনদেন, ব্যাংক ব্যালেন্স ও ট্যাক্স রিটার্ন সবার জন্য উন্মুক্ত এবং সেসব দেখে বোঝা যায় তিনি কোনো বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন না। প্রথম আলো তার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে, তা মিথ্যাচার ও ‘তথ্যসন্ত্রাস’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করছি—কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে যে আমি কারো কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। যেকোনো সরকারি বা বেসরকারি গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় তদন্ত হোক, আমি রাজি।”
তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যেই নেতা প্রতিবাদ করে, তাকেই বারবার আক্রমণের শিকার করা হয় এবং প্রথম আলো এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কাজ করছে। তার ভাষায়, “র-এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমাকে নিয়ে তথ্যসন্ত্রাস কাকতালীয় হতে পারে না।”
পোস্টের শেষে তিনি বলেন, “এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না। যতদিন প্রাণ আছে, আমি দিল্লির সাম্রাজ্যবাদ এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো। রাজনীতি যদি না থাকে, তবুও এই লড়াই থামবে না। আমাদেরকে মেরে না ফেলা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে ইনশাআল্লাহ।”