ঢাকা : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, কাউন্সিলের পর আবার সরকারকে হটানোর আন্দোলনে নামবে বিএনপি। রাজপথে আন্দোলন করে সরকারকে বিদায় করতে হবে।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জিয়া নাগরিক ফোরাম নামের একটি সংগঠন ‘গণতন্ত্র ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আগামী ১৯ মার্চ দলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার জায়গা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন হাফিজ উদ্দিন। তিনি বলেন, এ অবস্থা উত্তরণে রাজপথে আন্দোলন করে সরকারকে বিদায় করতে হবে। অনেকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে যে, আন্দোলন করার শক্তি নেই বিএনপির। দেশ ও মানুষের স্বার্থে কাউন্সিলের পর বিএনপি মাঠে নামতে চায়।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, বিএনপিকে আরো গতিশীল করতে এবারের কাউন্সিলে আরো নতুনত্ব আসছে। এবার কমিটি ঘোষণার সাথে সাথ নতুন করে উপ কমিটিও ঘোষণা করা হবে। কমিটি সারাবছর দেশের আন্দোলন পরিচালনা করবে। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন ঘটানো হবে।
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, বিএনপির ১১৪ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
বিচার বিভাগের কঠোর সমালোচনা করে মেজর হাফিজ উদ্দীন বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র না থাকলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও থাকে না।
নিয়মবহির্ভূত বিচারপতি নিয়োগের কারণে বিচার বিভাগের কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাঝে অনেক ফারাক সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সাত খুনের আসামি নূর হোসেনের একদিনের জন্যও রিমান্ড হলো না। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের অতি তুচ্ছ মামলায় রিমান্ডে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। দেশে আইনের শাসন নেই, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। এক অস্থিরতা বিরাজ করছে।
মেজর হাফিজ বলেন, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করায় যে বিদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তার দেয়া তথ্যে আওয়ামী লীগের বড় নেতাদের নাম উঠে এসেছে। এ জন্য সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।
কোটি টাকার জালিয়াতিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম থাকায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ লিখছে না।
তিনি বলেন, সরকার পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের মেধা মূল্যায়ন না করে গণহারে পাস করিয়ে দিচ্ছে। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় এসে গণহারে ফেল করছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার।
বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, সহ-সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
২৭ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম