এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে পলাতক নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের পটুয়াখালী জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে বাদল। এরপর থেকে প্রকাশ্য দেখা যায়নি তাকে। সম্প্রতি হঠাৎ ফেসবুক লাইভে এসে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার রাতে ৭ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের লাইভে দলের প্রভাবশালীদের উদ্দেশে নানা অভিযোগ করেন মেহেদী হাসান।
আজ শুক্রবার বেলা পৌনে একটা পর্যন্ত ওই লাইভ ১১ হাজারবার দেখা হয়েছে। তার বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতা, যাঁরা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন, তাঁরা শহরে ঘুরছেন, বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই, বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুর নেই।
যত হামলা-ভাঙচুর ও মামলার আসামি ছাত্রলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় আমি ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীরা কোনো টাকাপয়সা ইনকাম করতে পারিনি, উল্টো খরচ হয়েছে। ৫ আগস্টের পরে কেউ তাঁদের খোঁজখবর রাখছেন না।’
মেহেদী হাসানের অভিযোগ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল করা হলেও কেউ সাড়া দেননি।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে যাঁরা পরিচালনা করেছেন, সেই সব নেতারাও পটুয়াখালী শহরের বাসা ও ঢাকার ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মেহেদী হাসান।
তিনি বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ ও আমার বাসায় একাধিকবার হামলা হয়েছে। জেলা যুবলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শ্রমিক লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতার বাড়িতে কোনো ধরনের হামলা-ভাঙচুর করা হয়নি। অথচ ৫ আগস্টের আগে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের কোনো রকম ক্ষতি করিনি, তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল।’