এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সারা দেশে তীব্র গরমে একটু আরাম পেতে কেউ খাচ্ছে ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি বা শরবত। কেউ বা কিনছে বাতাসকে ঠাণ্ডা রাখার এসি। এবার গরমের স্বস্তি এই দুই উপকরণ কিনতে গেলেও পকেটের ওপর পড়বে বাড়তি চাপ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ফ্রিজ ও এসির ওপর দ্বিগুণ হারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের চিন্তা করছে সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, এ দুই খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে আরো বাড়িয়ে ভ্যাটহার করা হয়েছিল ৭.৫০ শতাংশ। এখন এই খাতগুলোতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
উৎপাদনশীল খাতকে এগিয়ে নিতে ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ফ্রিজ, এসি ও মোটরসাইকেল খাতকে ১২ বছরের জন্য বিশেষ কর সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। তখন এই খাতগুলোর জন্য করপোরেট করহার ছিল ৫ শতাংশ। পরে ২০২০-২১ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। সবশেষ চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই খাতগুলোর করপোরেট করহার ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এনবিআর সূত্র জানায়, বর্তমানে এই দুই খাত থেকে সরকার প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় করে। তবে ভ্যাটহার বাড়লে এই দুই খাত থেকে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হবে।
ভোক্তা ও শিল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার যদি ফ্রিজ ও এসির ওপর ভ্যাট বাড়ায় তাহলে দাম বাড়িয়ে ব্যবসায়ীরা সেই বোঝা ভোক্তার কাঁধেই চাপাবেন। এতে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে। দীর্ঘ সময় ধরে বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে তা আরো উসকে দেবে।