বুধবার, ০৭ মে, ২০২৫, ০৭:৫১:৩২

গ্যাস সংকট নিয়ে যে সুখবর

গ্যাস সংকট নিয়ে যে সুখবর

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শিল্পকারখানায় গ্যাস সংকট কাটাতে বাড়তি ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের বরাদ্দ থেকে এবং বাড়তি এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির মাধ্যমে এ গ্যাস শিল্পে দেওয়া হবে।

আজ বুধবার (৭ মে) বিকেলে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়টির উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খান।

জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, দেশীয় গ্যাস উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় ঘাটতি পূরণে এলএনজি আমদানি বাড়ানো হচ্ছে, যার ফলে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হবে।

তবে জনস্বার্থ ও শিল্পখাতের কথা বিবেচনা করে দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামনে গরম বাড়লে লোডশেডিং মোকাবিলায় প্রয়োজনে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বাড়ানো হবে।

আপাতত গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না সরকার বলেও তিনি জানান। ফাওজুল কবির বলেন, নতুন নতুন শিল্প তৈরি হয়েছে।

গ্যাসের সরবরাহ কমেনি। বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস শিল্পে দেওয়া হবে। বাড়তি এলএনজি আমদানি হচ্ছে এখান থেকেও গ্যাস দেওয়া হবে। সবমিলিয়ে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হবে।

উপদেষ্টা বলেন, গ্যাস অনুসন্ধানে শুধু বাপেক্স নয়, উন্মুক্ত টেন্ডার করা হবে। স্থলভাগের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে। আশা করি, করা সম্ভব হবে। গভীর সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে রি-টেন্ডার করা হবে।

ফাওজুল কবির আরও জানান, নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দিচ্ছে সরকার।

এ বছর ৫০টি এবং আগামী বছর ১০০টি কূপে অনুসন্ধানের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র থেকে দৈনিক ২৭ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাওয়া গেছে এবং তা পাইপলাইনে যুক্ত হয়েছে। সরকার বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন এবং সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সভা শেষে হামীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, শিল্পখাতে গ্যাস সমস্যার সমাধানে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এ পরিকল্পনা অব্যাহত থাকলে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে