এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর আহ্বানে কাকরাইল এলাকার যমুনা ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অবস্থান নিয়ে চলছে বিক্ষোভ। রাত থেকে অবস্থান নিয়ে থাকা বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনেই জুমার নামাজ পড়েছেন।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ঘোষণা দেন, জুমার নামাজের পর যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে একটি বৃহৎ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার পরপরই বেলা ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে মিন্টো রোডের মুখে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে জড়ো হন। সেখানে পাঁচটি ট্রাক একত্র করে সামিয়ানা টানিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী মঞ্চ।
বেলা সোয়া ১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ আবার যমুনার সামনেই ফিরে গিয়ে সড়কে জুমার নামাজ আদায় করেন। কেউ জায়নামাজ, কেউ পতাকা, আবার কেউ রুমাল বিছিয়ে নামাজে অংশ নেন। ইমামতি করেন এনসিপির নেতা মাওলানা সানাউল্লাহ।
জুমার নামাজ শেষে আবারও সমবেত হন বিক্ষোভকারীরা। “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর”—এই দাবিতে তারা নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
সকালে যমুনার সামনে বক্তব্য দিতে গিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনারা রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে উপদেষ্টা হয়েছেন। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টার প্রতিবাদেই আমরা আবার যমুনার সামনে এসেছি। তিনি ঘোষণা দেন, আজ জুমার পর ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে বাংলামোটর পর্যন্ত রাস্তা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ছাত্র-জনতার দাবিকে সামনে রেখে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বুধবার (৭ মে) রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনার পর থেকেই এই দাবিতে সোচ্চার হয় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন পক্ষ। রাত ১টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।