এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ঢাকা জেলার সাভারের বাইপাইল পাইকারি মৎস্য আড়তে শুক্রবার ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা প্রজাতির মাছ এসেছে। আড়তে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়।
এ মাছের বাজারে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনেও মাছের আমদানি ও বেচাকেনা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বাজারে ক্রেতার ভিড় থাকলেও পাইকারদের মুখে নেই তেমন হাসি।
কারণ হিসেবে তারা জানাচ্ছেন, কোরবানির ঈদ সামনে থাকায় মানুষ এখন খুব অল্প মাছই কিনছে। এর ফলে মাছের দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, বাজারের দর এখনও তাদের জন্য চড়া।
অন্যান্য মাছের দর:
রুই: ২০০–২৫০ টাকা
কাতলা: ২০০–২৫০ টাকা
তেলাপিয়া: ১২০–২০০ টাকা
পাঙ্গাস: ১৪০ টাকা
কাঁচকি: ২০০ টাকা
কই: ১৩০–১৪০ টাকা
শিং: ২২০–২৩০ টাকা
দেশি মাগুর: ২৮০ টাকা
শৌল: ৫০০–৫৫০ টাকা
টাকি: ২৫০ টাকা
বাইম: ৭০০–৮০০ টাকা
দেশি পুঁটি: ২০০–২৫০ টাকা
গলদা চিংড়ি: ৭০০–৮০০ টাকা
বাগদা চিংড়ি: ৫৫০ টাকা
পাবদা: ২৮০–৩০০ টাকা
বিগহেড: ১২০ টাকা
সিলভার কার্প: ১৩০–১৬০ টাকা
আড়তদার ইমাম হাসান দেলোয়ারসহ কয়েকজন জানান, বন্ধের দিনে সাধারণ ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও মাছের দাম তুলনামূলকভাবে কম। অন্যদিকে, খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, এই মূল্যে বাজার থেকে মাছ কিনে মহল্লায় বিক্রি করতে গিয়ে তারা অনেক সময় লোকসানের মুখে পড়ছেন।
জানা গেছে, ভোর ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত বাইপাইলের এই বৃহত্তর মৎস্য আড়তে প্রায় কোটি টাকার ওপরে মাছ বিক্রি হয়।