এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় ১৬ জেলায় তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করছে গভীর নিম্নচাপ। এটি বর্তমানে সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় দেওয়া ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বিশেষ পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করছে গভীর নিম্নচাপটি। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে সাতক্ষীরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। উত্তর/উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে এই নিম্নচাপ। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অমাবস্যা ও গভীর নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১-৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে তিনি জানান।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।