বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫, ০৯:৪১:২৬

জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : জুয়েলারি শিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সহসভাপতি রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সারাদেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সেই কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে সংগঠনটি। 

শুক্রবার (৩০ মে) থেকে যথারীতি খোলা থাকবে জুয়েলারির সব প্রতিষ্ঠান। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এতে বলা হয়, বাজুসের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে ভুয়া ও বানোয়াট রাজনৈতিক পদ দেখিয়ে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গত ২৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রাজধানীর তাঁতিবাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন। পুলিশ ওই মামলায় যে রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করেছেন, রিপনুল হাসান কখনোই সেই পদে ছিলেন না। এমনকি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে সে জড়িত নয় এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যপদও কোনোদিন রিপনুল হাসান গ্রহণ করেননি।

বাজুসের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তারের কারণে সারাদেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা ক্ষুদ্ধ ও মর্মাহত জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই নিরাপরাধ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা  প্রকাশ করেছেন সারাদেশের জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা। তার ন্যায়বিচার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ সারাদেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দিনভর প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সারাদেশের ব্যবসায়ীদের এই ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ কর্মসূচি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সেজন্য বাজুস কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সব জুয়েলারি মালিকদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে।

এমন পরিস্থিতিতে সংগঠনের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে অব্যাহতি ও ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা, অর্থ উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বাজুস। 

একইসঙ্গে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল আজহা ও সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় অনির্দিষ্টকালের বন্ধের কর্মসূচি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের মালিকদের শুক্রবার (৩০ মে) থেকে সব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। 

তবে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রিপনুল হাসানের নাম প্রত্যাহার ও ন্যায়বিচার না পেলে পরবর্তীতে বাজুস কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, বুধবার (২৮ মে) রাতে সমিতির সহসভাপতি রিপনুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বাজুস।

এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসানকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে