সোমবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৯:৫১:৫৬

বউ নাকি ধানের শীষ?

বউ নাকি ধানের শীষ?

ঢাকা : বহু তদ্বিরের পর আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন আব্দুল মজিদ মাস্টার। দলীয় প্রতীক পেয়ে তিনি মহা-খুশী। প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এ আনন্দ কি আর বলে কয়ে বুঝানোর মত?

কিন্তু আব্দুল মজিদের এই আনন্দটুকু স্থায়ি হল না। বাস্তবতার করালগ্রাসে মুহূর্তেই উবে গেল তার নির্বাচন করার স্বপ্ন। মনোনয়নপত্র দাখিল করার প্রস্তুতি নিয়েও তিনি তা আর দাখিল করলেন না। সরে এলেন নীরবে। কিন্তু কেন?

জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য তিনি যদি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, তবে তাকে বউসহ ভিটে-মাটি হারাতে হবে। তাই তার সামনে অপশন ছিল দুইটা। হয় বউ বেছে নাও, নয় তো নির্বাচন কর! এমন পরিস্থিতিতে তিনি কি করবেন? বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়ালেন। এ ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলার গাজীপুর ইউপি নির্বাচনের।

ঘটনার বিরবরণে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই করতে আবদুল মজিদ মাস্টারকে দলীয় মনোনয়ন দেয় বিএনপি। কেন্দ্র থেকে প্রতীক পেয়ে মহাখুশিতে বাড়িতে যান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল মজিদ। স্থানীয় রিটার্নিং অফিসে মনোয়নপত্র দাখিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু একটি ফোনই মজিদের চেয়ারম্যান হওয়ার প্রত্যাশার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে।

তার স্ত্রী ফ্যামিলি প্লানিংয়ে চাকরিরত। আবদুল মজিদ নিজেও হাইস্কুলের টিচার। প্রতিপক্ষের লোকেরা মজিদকে ভিটেবাড়িছাড়া করা ও চাকরিচ্যুত করার হুমকি দিয়েছে। তার স্ত্রীর কাছে পাঠানো বার্তায় ওদের ভাষা ছিল এমন : ‘আমরা আপনার ভালো চাই, আপনার স্বামীকে মনোনয়ন দাখিল থেকে বিরত রাখুন। নির্বাচনে তো জিতবেই না। আর মনোনয়ন দাখিল করলে আপনার সরকারি চাকরিটা চলে যাবে। আর চাকরিসহ এলাকাতেই থাকতে পারবেন না।’

কথাটি কান্নাকাটি করেই মজিদকে বলছিলেন তার স্ত্রী। কিন্তু আমলে নেননি বহু তদ্বিরের পর ধানের শীষে মনোনয়ন পাওয়া আবদুল মজিদ। মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের রাতে তার স্ত্রী শর্ত দেন-‘নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে, আর তা না পারলে আমাকে ছেড়ে দিতে হবে’। এ শর্তের কারণে শেষ পর্যন্ত মজিদের আর মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়নি।

ঘটনা সম্পর্কে মজিদ জানিয়েছে, ‘আমি এবং আমার বউয়ের চাকরির জন্য হুমকি ছিল। আরো আছে যা বলার মতো নয়’। সূত্র : নয়াদিগন্ত
২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে